বুধবার

৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
,

আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল: সমাবেশে জনতার ঢল

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৫:০১

শেয়ার

আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল: সমাবেশে জনতার ঢল
আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ। বাংলা এডিশন

জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে পাবনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জামায়াতে ইসলামী পাবনা জেলা শাখার আয়োজনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে শহীদ চত্বর থেকে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিলিছটি কোর্ট মোড়, অনন্ত মোড়, মুজাহিদ ক্লাব হয়ে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হয়।

এর আগে পাবনা শহরের আব্দুল হামিদ সড়কে শহীদ চত্বরে জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয় সমাবেশ।

বক্তব্য দেন, পাবনা জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মাওলানা জহুরুল ইসলাম খান, অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, সাবেক আমির মাওলানা আব্দুর রহিম, জামায়াতের বগুড়া অঞ্চল পরিচালক টিমের সদস্য নজরুল ইসলাম, বেড়া উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির আব্দুল বাছেত খান, পাবনা পৌর জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল লতিফ, সদর উপজেলা আমির আব্দুর রব, সাবেক মির অধ্যাপক রকিব উদ্দিন, ইব্রাহিম খলিল আইনুল প্রমুখ।

জামায়াত নেতারা বলেন, ’শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় পাবনা বিএনপির ৪৭ নেতাকর্মী মুক্তি পেয়েছেন। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলার আসামি লুৎফুর রহমান বাবর মুক্তি পেয়েছেন। তারেক রহমানও মুক্তি পেয়েছেন। এতে সবাই খুশি ও আনন্দিত। তবে এখনও জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তি না পাওয়া দু:খজনক। বর্তমান সরকারের ৬ মাস অতিবাহিত হলেও মজলুম এ জননেতার মুক্তি মেলেনি।

আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জামায়াত নেতারা বলেন, ’আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি মামলার শুনানীর দিনে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে। তাছাড়া দেশব্যাপী কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আর যারা এই মিথ্যা মামলায় স্বাক্ষ দিয়েছে, যে বিচারকরা রায় দিয়েছিলেন তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে স্বৈরাচারী সরকারের বাতিল করা জামায়াত-শিবিরের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।’

 

banner close
banner close