শনিবার

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
৯ ফাল্গুন, ১৪৩১
২৩ শা’বান, ১৪৪৬

সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে : মিনু

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ১৩:২৭

শেয়ার

সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে : মিনু
সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে : মিনু

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, আজ চালের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ডাল সয়াবিন তেল চিনি অধিমূল্য। আমরা সবাই ঔষধ খাই৷ ঔষধ কেন নাগালের বাইরে। সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। প্রফেসর ইউনুস সাহেব আপনি সজাগ হন।  আপনার জনপ্রিয়তা এখন কোন জায়গায় আছে। নিজেকে একবার দেখুন। অথচ আমরা সম্মান করি, বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। কিন্তু আপনার যে হ্যান্ডস, থানা থেকে জেলা থেকে সেক্রেটারিয়েট এবং অন্যান্য  এডমিনিস্ট্রেশন সমস্ত স্বৈরাচারী হাসিনার। তারা জনগণের শত্রু। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সকল তত্ত্বাবধায়ক সরকার ৬ মাসের মধ্যে সুন্দরভাবে শেষ করেছে। আপনারা সেই পথে হাটুন। তা-না হলে কোনো বিপর্যয় যদি হয়, তার দায়দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণের মুখ থেকে কিন্তু অনেককিছু বের হয়েছে৷ আজ থেকে ছয় মাস আগে আপনি রাষ্ট্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ৬ মাস আগে আপনার যে বিশ্বময় ও বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। আজকে একটু শুনে দেখেন, সেটি আজকে কোন জায়গায় গিয়েছে। বিশ্বের  নেতৃবৃন্দ অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। 

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আয়োজনে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড় এলাকায় একতা খেলার মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন মিজানুর রহমান মিনু। 

মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ খুনি হাসিনার সময় সমস্ত কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হাজার হাজার আমাদের ভাইদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে। আমরা কারাগারে গিয়েছি, আমরা গুলি খেয়েছি, আমরা সবাই নির্যাতিত হয়েছি। ছাত্রজনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করছে।

তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে আমরা আন্দোলন সংগ্রাম করেছি, জীবন বিসর্জন দিয়েছি, শাহাদাত বরণ করেছি, আমরা কারাগারে গিয়েছি, এই আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে। ৫ আগস্ট ছাত্রজনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন। 

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেন সরকারের সঞ্চলনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক  ও দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন। 

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার বিএনপির নেতারা বলেন, কুষ্টিয়ায় বিএনপির আজকের এ সমাবেশ লোকে লোকারণ্য। জেলা শহর থেকে শুরু করে প্রান্তিক গ্রামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়েছে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতে সমাবেশস্থল মুখরিত। সর্বকালের সেরা সমাবেশ। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুষ্টিয়া বিএনপি এ সমাবেশ।

পূর্ব ঘোষিত কুষ্টিয়ায় বিএনপির সমাবেশে বিপুল লোক সমাগম হয়৷ সমাবেশ স্থলে নির্ধারিত সময়ের আগে থেকেই নেতাকর্মী ঢল নামে। জেলার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের হাজার হাজার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। দূরদূরান্ত থেকেও নেতা-কর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন। সরকার পরিবর্তনের পর এই প্রথম কুষ্টিয়ায় জেলা বিএনপির নেতা-কর্মী সবচেয়ে বড় সমাবেশে মিলিত হন।