
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র ঐতিহ্যেবাহী ঝিটকা বাজারের প্রধান সড়ক ও গলি আটকে প্রতিদিন পিঁয়াজ কেনাবেচা ও ট্রাকে মালামাল লোড আনলোড করায় সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত এ বাজারের জ্যাম যেনো নিত্য দিনের সঙ্গী। সকাল-বিকাল রাস্তা আটকে পিঁয়াজের গাড়ি লোড আনলোডের কারণে জ্যামে নাজেহাল পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা।
এতে করে চরম জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীসহ সাধারণ জনগণকে। তবে এ ব্যাপারে প্রশাসন কিংবা বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো উদ্যোগ নেই বলেও অভিযোগ ব্যবসায়ীসহ পথচারীদের।
সরেজমিনে জানা যায়, ঝিটকা বাজারের হাটার রাস্তা ও গলি আটকে প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর পর্যন্ত পিঁয়াজ বেচাকেনা হয়। সকালে বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে নসিমন, ইজিবাইক, ভ্যান ও রিক্সায় করে কৃষকেরা পিঁয়াজ নিয়ে আসে। রাস্তা ও গলি আটকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০-২২ টি ট্রাক ও নসিমনে পিঁয়াজ লোড করা হয়।
কোহিনুর আক্তার নামের এক নারী পথচারী জানান, ‘প্রতিদিনই এই পিঁয়াজ বাজার গলি আটকে পিঁয়াজের ট্রাক লোড করা হয়। ফলে গাড়ি তো দূরের কথা পায়ে হেঁটেও যাওয়া যায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যাম লেগে থাকে। এখান থেকে পিঁয়াজের বাজার অন্যত্র স্থানান্তর না করলে এ সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়।’
ঝিটকা বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন জানান, ‘প্রতিদিন ঝিটকা বাজার থেকে শতশত টন কাঁচামাল রফতানি ও আমদানি করা হয়। প্রতিদিন পণ্যবাহী শতশত ছোট বড় গাড়ি এই বাজারের প্রধান গলি দিয়ে যাতায়াত করে। কিন্তু পিঁয়াজ বিক্রির আলাদা স্থান না থাকায় আমাদের গলি ও রাস্তায় পিঁয়াজ কেনাবেচা করতে হয়। এজন্য আমরা একটা জায়গা নির্ধারণ করেছি। প্রশাসনের অনুমতি পেলেই পিঁয়াজের বাজার স্থানান্তর করা সম্ভব। তাহলেই হয়তো এই বাজার অনেকটাই জ্যামজট মুক্ত হবে।’
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনুর আক্তার জানান, ‘আমি এ উপজেলায় সদ্য যোগদান করেছি। বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি। ইতিমধ্যে পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে বাজার কমিটি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মিটিং আহবান করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন: