
মেঘনায় কালীগঞ্জ নৌ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইনামুল হক ও সেকেন্ড অফিসার এসআই নাফিজের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পন্যবাহী বাল্কহেড চালকরা।
এরুটে পর্যায়ক্রমে চাঁদা আদায়ের রুপ পরিবর্তন হলেও বন্ধ হয়নি চাঁদা আদায়।
এদিকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারী সোমবার বিকেল ৪ টার দিকে কালীগঞ্জ নৌ ফাড়ির একটি আভিযানিক টিক মেঘনায় নৌ নিরাপত্তা সচল রাখতে নদীতে কর্ত্তব্য রত ছিলেন।
এসময় বাজিতপুরের উদ্দেশ্যে চট্রগ্রাম থেকে ছেড়ে বাল্কহেড ফাহাদ সৌরব,আল্লারদান,জারিন,সিঙ্গাপুর সহ মোট ৮টি বাল্কহেড কে জিম্মি করে কালীগঞ্জ নৌ পুলিশ।
পরে বাল্কহেড স্টাফদের ভিবিন্ন ধরায় মামলা রুজুর ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় মোটা অংকের টাকা। এসময় বাল্কহেড চালকরা চাঁদা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে তাদের মারধরও করেন নৌ পুলিশ ।
এ চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে রাহাত এন্ড সৌরব এর সুকানি মিনারুল ইসলাম বলেন আমরা প্রায় ১৫ টি বাল্কহেড একবহরে মেহেন্দগঞ্জের কালীগঞ্জ পয়েন্ট অতিক্রম করার সময় উলানিয়া বাজারের দিক থেকে তেড়ে আসা একটি নৌ পুলিশের ট্রলার আমাদের জাহাজের গতি কমাতে বলে, আমি গতি না কমালে তারা দ্রুত চালিয়ে এসে গতি না কমানোর অপরাধ মারধর করার চেষ্টা করলে আমি তাকে বলি আমার সকল প্রকার কাগজপত্র আপডেট আছে, আমরা সরকারি সকল বিধিমালা মেনেই পণ্য পরিবহন করছি। পরে তারা আমার কাছ থেকে চাপ প্রয়োগ করে টাকা আদায় করে। একই কথা বলেন জিম্মি করা বাকি ৭ টি বাল্কহেড চালকরা। তবে এ রুটের চাঁদাবাজ থেকে মুক্তি চায় বাল্কহেড চালকরা।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ ইনামুল হক বলেন আমার টিম নদীতে নৌ নিরাপত্তা সচল রাখতে কাজ করছেন তবে তারা বাল্কহেড জিম্মি করে চাঁদা আদায় করেছে এমন বিষয় আমার জানা নেই, তবে তারা বাল্কহেড জিম্মি করে টাকা নিছে এমন একটি প্রমাণ দিন আমি উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আইনগতভাবে ব্যাবস্থা নিবো।
এ বিষয়ে নৌ পুলিশের বরিশাল অঞ্চলের পুলিশ সুপার জানান তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: