
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খাবার হোটেল ও মুদি দোকান ভাঙচুরের অভিযোগে আটকের পর তিন সমন্বয়ককে মুচলেকা আদায়ের পর ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
শনিবার নাটোর-বনপাড়া মহাসড়কের খালকুলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পাওয়া সমন্বয়করা হলেন নাটোর সদর উপজেলার লালমনিপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম (২৫), মল্লিকহাটি গ্রামের আব্দুল্লাহ আল নোমান (২৫), এবং বাজার এলাকার রেজা রাব্বানী হাবিব (২৪)।
ভাঙচুর হওয়া আশা হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক আলী আশরাফ জানান, শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে ঢাকায় নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে নাটোর থেকে আসা ছাত্র-জনতার তিনটি বাস হোটেলের সামনে থামানো হয়।
এ সময় হোটেল অভ্যন্তরের দোকানে কেক কেনা নিয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হয় এবং তাৎক্ষণিক বিষয়টি মীমাংসা হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ঢাকা থেকে ফেরার পথে শনিবার ভোর ৫টার দিকে নিজেদের সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে হোটেল ও দোকান ভাঙচুর করেন তারা। বাধা দিলে এক কর্মচারী ও আমাকেসহ তিনজনকে মারধর করেন তারা। এরপর স্থানীয়রা এসে তিন সমন্বয়ককে আটক করলেও অন্যরা পালিয়ে যান। পরে তাদের মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
তাড়াশ থানার পরিদর্শক নাজমুল কাদের বলেন, উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। শনিবার দুপুরে মুচলেকায় তিন সমন্বয়ক ছেড়ে দেয়া হয়। ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের সাত হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মীমাংসা বৈঠকের সময় উভয় পক্ষের লোকজনসহ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: