
ভোলায় প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে গরু চুরির ঘটনা, থামছে না কোন ভাবেই। নিরীহ কৃষকদের দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে গোয়াল ঘরের গরু নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নতুন নয়। তবুও সংশ্লিষ্ট প্রসাসন রুখতে পারছেন না গরু মহিষ চুরির বিষয়টি। ভোলায় প্রতিনিয়ত এ যেন এক অপ্রতিরোধ্য বিষয় হয়ে চেপে বসেছে সাধারণ কৃষকের মাথায়। সামনে ঈদ উপলক্ষে গরু চুরি মহামারী আকারে ধারণ করতে পারে বলে সংকিত কৃষকরা।
গতকাল রোববার ২রা (মার্চ) দিবাগত রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল দেশীয় অস্ত্র ঠেকিয়ে চুরি করেন একই পরিবারের ১৬ টি গরু ও কৃষকের ৫টি মোবাইল ফোন। গতকাল রাতে লালমোহন উপজেলার চর কচুয়াখালীতে এ দুদর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে কৃষক ইউসুফ মাঝি জানান এই রাতে চরে আমাদের একই পরিবারের ১৬ টি গরু নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। চুরি করার সময় আমাদের কৃষকরা টের পেলে চোরেরা তাদের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত করেন।আহতরা দুজন লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসারত। ১৬ টি গরু ও চাষিদের ৫টি মোবাইল নিয়ে যাওয়া বিষয়ে ধারণা করা হচ্ছে গরুগুলো চোরেরা কালাইয়া অভিমুখে নিয়ে গেছেন, রাতে তারা গরু নিয়ে তাদের ট্রলারটি কালাইয়া বাজারের দিকেই চালিয়ে যেতে দেখাা গেছে বলে জানান ইউসুফ।
ইউসুফ মাঝি চরফেশন উপজেলার দুলারহাট থানার নীলকমল ইউনিয়নের নীলকমল গ্রামের বাসীন্দা। চর কচুয়াখালী লালমোহন উপজেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও চরটি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলা ও ভোলা জেলার দুলারহাট এলাকার মধ্যবর্তী সীমান্তে অবস্থীত।
ভোলার বিভিন্ন এলাকায় কৃষকের গোয়াল থেকে রাতের আধারে গরু চুরি যেন থামছেই না। কয়েকদিন পরপরই খবর পাওয়া যায় গরু চুরির, কিন্তু কিছুতেই থামছে গরু চুরির ঘটনা।
চরাঞ্চলে কৃষক রাতের পর রাত পাহারা দিয়েও স্বস্তি মিলছে না চোরের হাত থেকে । তাদের আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে এলাকার মানুষ। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো এলাকায় হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। গভীর রাতে গোয়াল ঘর কিংবা চরাঞ্চলের উম্মুক্ত এলাকা থেকে গরু চুরি করে নাম ছাড়া ট্রলার বা বালামি নৌকায় উঠিয়ে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোরের দল। আর এসব ঘটনায় খুব কম সংখ্যক মামলাই রেকর্ডভুক্ত হয়।
লালমোহন থানার অফিসার ইনচার্জ কল রিসিভড না করলে ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার জানান, গরু চুরির খবর দেখেছি কিন্তু অভিযোগ পাইনি,অভিযোগ পেলে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: