রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৭ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

দেড় মাস ধরে বন্ধ টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য : বিপাকে ব্যবসায়ীরা

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৫ মার্চ, ২০২৫ ১৫:০৮

আপডেট: ৫ মার্চ, ২০২৫ ১৫:০৮

শেয়ার

দেড় মাস ধরে বন্ধ টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য : বিপাকে ব্যবসায়ীরা
দেড় মাস ধরে বন্ধ টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য। ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে কক্সবাজারের টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য দেড় মাস ধরে বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার। ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফে আসার পথে পণ্যবাহী নৌযান আটকে দেয় দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি সদস্যরা। সেটি ঠেকাতে মিয়ানমার সরকার সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
 
সর্বশেষ গত ১৬ জানুয়ারি তিনটি নৌযান আটকের পর ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী নৌযান টেকনাফে আসেনি।
স্থলবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা ও আমদানি-রপ্তানি কারকরা বলছেন, মিয়ানমারের জান্তা বাহিনীর সঙ্গে সে দেশের আরাকান আর্মির সংঘাতের কারণে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে।বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেশি বেকায়দায় ও বিপাকে পড়েছেন টেকনাফের ব্যবসায়ীরা।
স্থলবন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, নাফনদী ও সাগরে আরাকান আমি কতৃক একের পর এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরের সীমান্ত বাণিজ্য দেড় মাস ধরে বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার।
 
স্থলবন্দর সূত্র জানায়, গত ১৬ জানুয়ারি ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে টেকনাফ স্থলবন্দরে আসার পথে নাফ নদী ও সাগর জলসীমা নাইক্ষ্যংদিয়ায় তল্লাশির নামে পণ্যবাহী তিনটি নৌযান আটকে দেয় আরাকান আর্মির সদস্যরা। চারদিন পর পণ্যবাহী দুটি নৌযান ছাড়লেও আরেকটি ছাড়ে ১৬দিন পর। এছাড়া টেকনাফের উদ্দেশে রওনা দেওয়া একটি হিমায়িত মাছের ট্রলার আকিয়াব বন্দর থেকে মিয়ানমারে ফেরত যেতে বাধ্য করা হয়। ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে ১৬জানুয়ারি থেকে ইয়াঙ্গুন-টেকনাফ সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে মিয়ানমার সরকার।
শাহপরীর দ্বীপের গোলারচর থেকে স্পিডবোটে ধাওয়া করে কাঠবোঝাই একটি ট্রলার অস্ত্রেরমুখে জিম্মি করে ধরে নিয়ে যায়। সেটি এখনও ছাড়েনি তারা।
 
বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আরাকান আর্মি পণ্যবাহী তিনটি নৌযান আটকে কমিশন চেয়েছিল। পরে সেদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমঝোতার মাধ্যমে দুই দফায় বেশ কয়েকদিন পর দুটি নৌযান ছেড়ে দেয়। ১৬দিন পর ২ ফেব্রুয়ারি ছেড়ে দেওয়া নৌযানটি টেকনাফ স্থলবন্দরে জেটিঘাটে রয়েছে। স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ নৌযানটি ইয়াঙ্গুন বন্দরে ফেরত পাঠাতে ছাড়পত্র দিলেও আরাকান আর্মির ভয়ে সেটি এখনও ফেরত যেতে পারেনি। ফলে ওই ট্রলারটি এখনো টেকনাফ স্থলবন্দরে অবস্থান করছে।
জানতে চাইলে টেকনাফ স্থলবন্দরের শুল্ক কর্মকর্তা বি এম আব্দুল্লাহ আল মাসুম বলেন, ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে আসা সর্বশেষ নৌযানের সব পণ্য খালাস হয়েছে। ফেরত যেতে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নৌযানটি এখনও টেকনাফ স্থলবন্দরের জেটিঘাটে অবস্থান করছে। সেটি আরাকান আর্মির কাছে ছিল ১৬দিন। নিরাপত্তাজনিত কারণে এখনও ফেরত যায়নি। ১৬ জানুয়ারি তিনটি নৌযান আটকের পর ইয়াঙ্গুন ও আকিয়াব বন্দর থেকে ৪ মার্চ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কোনো পণ্যবাহী নৌযান টেকনাফে আসেনি। তবে সীমিত পরিসরে চলতি বছর থেকে মংডুরটাউন শিপের সঙ্গে টেকনাফের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য থেমে থেমে কোনো রকমে চালু রয়েছে।
banner close
banner close