
চলছে পবিত্র রমজান মাস। রমজান মাস উপলক্ষে পর্যটক না আসায় এখন সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে পর্যটন শহরের সবর্ত্রই। পাল্টে গেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত শহর কক্সবাজারের চিনচেনা সেই রুপ এবং দৃশ্য। অনেক হোটেল মালিকেরা বিশেষ ছাড় দিলেও মিলছে না পর্যটকের। তবে ঈদের পর থেকে লাখো পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করছেন পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসায়ীরা।
শুধু সমুদ্র সৈকত নয়, জেলার পর্যটকদের দর্শনীয় স্থানগুলোতেও বর্তমানে বিরাজ করছে শূণ্যতা, চারদিকে যেন সুনসান নিরবতা। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সকালে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী, কলাতলী, সুগন্ধা পয়েন্ট, পর্যটন স্পট দরিয়ানগর, হিমছড়ি ও ইনানী পাটুয়ারটেক ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়েছে। এদিকে পর্যটক না আসায় অলস সময় পার করছেন সমুদ্র সৈকতের ঝিনুক শামুকের দোকানদাররা। অনেক দোকান আবার বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
এদিকে হোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, রোজার সময় কিছুসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। অনেকের কক্সবাজার ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও অতিরিক্ত খরচের কারণে বছরের অন্য সময় ভ্রমণে আসার সুযোগ হয় না। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পুরো রমজানে শহরের প্রায় হোটেল-মোটেলে কক্ষ ভাড়ার বিপরীতে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ কক্ষই ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো কোনো হোটেল পুরোপুরি ফাঁকা। আবার ছোটখাটো কয়েকটি হোটেলের মূল ফটকে তালাও ঝুলতে দেখা গেছে। এদিকে সৈকত ও শহর এলাকার অধিকাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে বিকেলের দিকে রেস্তোরাঁগুলোয় ইফতারসামগ্রীর পসরা বসছে।
কক্সবাজার হোটেল মোটল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রমজানে পর্যটক টানতে হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে বিশেষ ছাড় চলছে। তবে এই মুহূর্তে পর্যটক শূন্য।
কক্সবাজার তারকা মানের হোটেল স্বপ্নীল সিন্ধু রিসিপশনে দায়িত্বে থাকা শরিফ আদনান বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের হোটেল অনেকটা ফাঁকা। তবে সনাতন ধর্মাবলম্বী কিছু লোক ভ্রমণে এসেছেন। আমরা পর্যটক টানতে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিয়েছি। ঈদের পরে পর্যটক সমাগম বাড়বে। সুইট হোম রিসোর্টের ম্যানেজার বলেন, রোজার সময় অল্প কিছুসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। অনেকের কক্সবাজার ভ্রমণের ইচ্ছা থাকলেও অতিরিক্ত খরচের কারণে বছরের অন্য সময়ে ভ্রমণে আসার সুযোগ হয় না। এমন কিছু পর্যটক এসেছেন। আমরা ৬০-৭০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছি।
ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিওনের পুলিশ সুপার আপেল মাহমুদ বলেন, রমজানে সাধারণত পর্যটক কম। হাতেগোনা যে সংখ্যক পর্যটক আসেন তাদের নিরাপত্তায় পর্যটক এলাকায় ট্যুরিস্ট পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: