বুধবার

৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
,

সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে তোপের মুখে এলজিইডি কর্মকর্তারা

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৬ মার্চ, ২০২৫ ১৭:৩৭

শেয়ার

সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে তোপের মুখে এলজিইডি কর্মকর্তারা
তোপের মুখে এলজিইডি কর্মকর্তারাG বাংলা এডিশন

গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের নামে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশের পর সেই সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়েন এলজিইডি কর্মকর্তারা। মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার রামনগর এলাকায় গত বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এদিন প্রায় দেড় কোটি টাকার সড়কটির সংস্কারের অনিয়ম দেখে এলজিইডি কর্মকর্তাদের সামনে প্রতিবাদ করেন বিক্ষুব্ধ স্থানীয় লোকজন। এসময় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তারা।

সূত্রে জানাগেছে, সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ থেকে মানিকনগর পর্যন্ত ৩ কিলো ১০০ মিটার সড়কের সংস্কার কাজের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রকল্পটি এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
এবিষয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলা এডিশনসহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয় । সংবাদ প্রকাশের পর ওই দিনই সড়কটি পরিদর্শনে যান উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহাবুব ইসলামসহ জেলা ও উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। এদিন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা  সাংবাদিক ও স্থানীয় লোকজনকে উদ্দেশ্য বলেন, সড়ক সংস্কারে কোথায় অনিয়ম? এমন প্রশ্নের জবাবে স্থানীয়রা নানা অনিয়ম তোলে ধরে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরে প্রতিবাদের মুখে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন উপজেলা এলজিইডি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা।

রামনগর গ্রামের মোঃ আনসার বলেন, এখনো শেষ হয়নি পুরো সড়কের সংস্কার কাজ। যেসব অংশে কার্পেটিং শেষ হয়েছে, হাত দিয়ে টান দিলেই উঠে যাচ্ছে কার্পেটিং। কতটা দুর্নীতি ও অনিয়ম হলে সড়কটির এমন পরিণত হয়। সড়কটি সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ করা হয়েছে। তাই কার্পেটিং করার দুইদিন পর হাতের টানেই উঠে যাচ্ছে সড়কের কার্পেটিং।

স্থানীয় নুরুল ইসলাম বলেন , শুরু থেকে সড়কটিতে নিম্নমানের কাজ হচ্ছিল। বাধা উপেক্ষা করে ঠিকাদার কাজ অব্যাহত রাখেন। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে, মানসম্মত কাজের দাবি জানাই। তা না হলে আমারা এ নিম্নমানের কাজ চলতে দেব না।

উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সড়ক নির্মানে অনিয়মের বিষয় নিয়ে মানিকগঞ্জ এলজিইডি অফিস কাজ করছেন। স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতার বিষয়ে বলেন, যা হয়েছে আপনাদের সামনেই হয়েছে, এ কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরে তাকে একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

মানিকগঞ্জ জেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী এবিএম খোরশেদ আলম বলেন, সংবাদ প্রকাশের পর আমাদের একটি ল্যাবরেটরি টিম সড়ক অনিয়মের বিষয়ে কাজ করছে। রিপোর্ট এখনো পাইনি। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা এলজিইডি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যদি স্থানীয়দের সাথে খারাপ আচরণ করেন সেক্ষেত্রে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

banner close
banner close