বুধবার

৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৬ বৈশাখ, ১৪৩২
,

এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের অভিযোগ

প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ১০ মার্চ, ২০২৫ ২১:০১

শেয়ার

এইচএসসি ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, সাংবাদিক লাঞ্ছিতের অভিযোগ
কোলাজ: বাংলা এডিশন

সিরাজগঞ্জের চৌহালী সরকারি কলেজে এইচএসসির ফরম পুরনে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে তথ্য চাওয়ায় এক সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করেছেন অধ্যক্ষ।

জানা যায়, চৌহালী সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আনোয়ারুল ইসলামের নির্দেশে ২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফির থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগে সরকার নির্ধারিত সর্বসাকুল্যে ফি ২২২৫ টাকার স্থলে ৩১৪৫ টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের ২৭৮৫ টাকা নির্ধারণ থাকলেও ৩৫৬৫ টাকা এবং অনলাইন ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।

এছাড়া বিগত বছরে এক বিষয়ে অকৃতকার্য প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী। তাদের কাছ থেকেও ১৯৪৫ টাকা করে নেয়া হচ্ছে।

অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে ফরম ফিলাপে যমুনা চরের হতদরিদ্র অনেক পরিবারের শিক্ষার্থীর পক্ষে কষ্টসাধ্য ব্যাপার হয়ে যাচ্ছে।

তারা এর প্রতিবাদ ও অভিযোগ করে জানান, সরকারের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নানা অজুহাতে ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। চাহিদামত টাকা না দিলে ফরম ফিলাপ করতে দিচ্ছে না।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষের কাছে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের স্থানীয় প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেন তথ্য চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে যান। এসময় অফিসে অন্যান্য শিক্ষক ও শিক্ষার্ধীদের সামনে উত্তেজিত ভাষায় গালিগালাজ করে হুমকি প্রদান করেন। ইতোমধ্যে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন জানান, এইচএসসির ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত টাকা নেয়া হচ্ছে, এ তথ্য জানতে চাওয়া মাত্রই কলেজের অধ্যক্ষ অফিস কক্ষ্যে আমার উপর চড়াও হন। এছাড়া তোর কাছে শুনে শুনে আমি কলেজ চালাবো নাকি। আমার যা খুশি আমি তাই করব। তুই যা পারবি করবি বলে হুমকি প্রদান করেন।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে চৌহালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার বোর্ড ফি ১৪৩০ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষা ফি ৬৩০ টাকা, ট্রান্সক্রিপ্ট ফি ১৫০ টাকা, সনদ ১০০ টাকা, সরকারি বেতন ৪৮০ টাকা, রোবারস্কাউট ফি ২৫ টাকা, ম্যানেজমেন্ট ফি ৫০ টাকা, মসজিদ ও উন্নয়ন ২৫০ টাকা নেয়া হচ্ছে।

এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জুয়েল মিয়া জানান, ঘটনার সময় আমি জেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় ছিলাম। তবে সরকারি নির্দেশনা মেনে অধ্যক্ষকে ফরম ফিলাপে বলা হয়েছে। অতিরিক্ত টাকা ফেরত দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

banner close
banner close