রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন কান ধরে ওঠবস করানো সেই নেতা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:২৮

আপডেট: ১৩ মার্চ, ২০২৫ ১২:৩০

শেয়ার

ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন কান ধরে ওঠবস করানো সেই নেতা
ক্ষমা চেয়ে রক্ষা পেলেন কান ধরে ওঠবস করানো সেই নেতা।

লক্ষ্মীপুরে রোজা না রেখে দোকানে খাওয়ার কারণে খাবার হোটেল থেকে বের করে বৃদ্ধ যুবকসহ কয়েক ব্যক্তিকে রাস্তায় প্রকাশ্যে কান ধরিয়ে ওঠবস করানো বণিক সমিতির সেই নেতা ক্ষমা চেয়েছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) রাতে জেলা পুলিশের হস্তক্ষেপে সদর থানা এলাকায় নিজের ভুল স্বীকার করে এক ভিডিও বার্তায় ভুক্তভোগী দুইজনকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমা চান লক্ষ্মীপুর বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল আজিজ।

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজিজকে থানায় ডেকে আনা হয়েছে। ভুক্তভোগী দুইজনকেও আমরা এনেছি। কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দেয়নি। ছাড়া আজিজ নিজেও ক্ষমা চেয়েছেন। এতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভুক্তভোগী লাল চুল-দাড়িওয়ালাকে আমরা খুঁজে পাইনি। বিষয়ে অন্য কেউ যদি অভিযোগ দেয় আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব।

এদিকে পুলিশের মধ্যস্থতায় মীমাংসার পর কয়েকজন সাংবাদিকদের দেওয়া ভিডিও বার্তায় দেখা যায় আজিজ ভুক্তভোগী মুনছুরুল হক মো. সাজু নামে দুইজনকে জড়িয়ে ধরেন এবং ক্ষমা চান। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া লাল চুল দাঁড়িওয়ালা সেই বৃদ্ধকে ভিডিওতে দেখা যায়নি।

ভিডিও বার্তায় আব্দুল আজিজ বলেন, কয়েকজন হোটেলে খাবারের জন্য ঢুকেছেন। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় তাৎক্ষণিক আমি গিয়ে ওনাদেরকে বলেছি, আপনারা কেন খাচ্ছেন। আপনারা তো মুসলমান। সেক্ষেত্রে তারা বলেছে রোজা রাখেনি। আমি বলেছি ভবিষ্যতে রোজা রাখবেন। আসলে যে কাজটি করেছি, এটি অন্যায়, অপরাধ। এটা ধর্মীয় অনুভূতি, সে জন্য এমনকিছু করা ঠিক হয়নি। জন্য ওনাদের কাছে ক্ষমা চাই। ওনারা যেন আমাকে ক্ষমা করে দেয়। আমি ধরনের পুনরাবৃত্তি আর কখনো করব না। এমন কাজের সঙ্গে জড়িত হব না।

এর আগে বুধবার দুপুরে রোজার পবিত্রতা রক্ষায় শহরের থানা রোড এলাকায় হিন্দুদের কয়েকটি পর্দা লাগানো খাবার হোটেলে লাঠি হাতে বণিক সমিতি নেতা আজিজ লাঠি হাতে অভিযান চালায়। সময় রোজাহীন কয়েকজন যুবক-বৃদ্ধকে হোটেল থেকে বের করে রাস্তায় প্রকাশ্যে তিনি কানে ধরে ওঠবস করতে বাধ্য করেন। ঘটনাটির কয়েক টুকরা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় নানান সমালোচনা। ছাড়া জাতীয় আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমে ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে রাতেই সদর থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়৷

banner close
banner close