
কক্সবাজার এখন প্রায় পর্যটক শূন্য। কিন্তু প্রতিদিন বিকালে ইফতার করার জন্য সমুদ্র সৈকতে ছুটছেন স্থানীয় শত শত মানুষ। সপরিবারে অথবা বন্ধুবান্ধব মিলে দল বেঁধে ইফতার করার জন্য জনপ্রিয় ওঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত।
রমজান আসার পর থেকেই কক্সবাজার শহর থেকে হিমছড়ি পর্যন্ত সমুদ্র সৈকতে প্রতিদিন শত শত মানুষকে ইফতার করতে দেখা যায়। সোমবার বিকালেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। তবে গরম বাড়ার সাথে সাথে সৈকতে ইফতার করা মানুষের হারও দিনদিন বাড়তে দেখা যায়।
সমুদ্র সৈকতে ইফতার করতে আসা রবিউল হাসান জানান, তিনি স্ত্রী সন্তান ও বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে ইফতার করতে এসেছেন সৈকতে। তিনি বলেন, অনেকদিন পর সৈকতে ইফতার করলাম। এটা এক অন্য ধরনের অনুভূতি।
একই সৈকতে দেখা হয় স্থানীয় সংবাদকর্মী সালাউদ্দিনের সাথে। তিনি বলেন, আমরা বন্ধু বান্ধব মিলে সৈকতে ইফতার করতে এসেছি। আর সৈকতে ইফতার করার অনুভূতি ফাইভ স্টার হোটেলের সাথেও তুলনা চলে না।
জানা যায়, স্বাধীনতার আগে পরে পুরনো ঝিনুক মার্কেট, মোটেল শৈবাল পয়েন্ট ও লাবণী পয়েন্ট সৈকতেই বেশি ইফতার করত মানুষ। আর এখন শহরের বাসিন্দারা নির্জনতার জন্য শহরের সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্ট পেরিয়ে হিমছড়ি সৈকত পর্যন্ত ছুটে যাচ্ছে। কক্সবাজার শহর ছাড়াও জেলার অন্যান্য সমুদ্র তীরের বাসিন্দাদের কাছেও সৈকতে ইফতার করা একটি আবহমান সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠেছে বলে জানান কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী।
স্থানীয়রা জানান, সৈকতে প্রতিদিন শত শত মানুষ ইফতার করলেও সৈকতে কোনো ইফতার বিক্রি হয় না। মূলত সেই ইফতার ঘরে প্রস্তুত করে অথবা দোকান থেকে কিনে সৈকতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সময় মতো সবাই ইফতার করে সৈকত ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: