
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে দশম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মো.হৃদয় হোসেন (২৫) নামের এক বখাটে যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে শিবালয় উপজেলার আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা এলাকার নিজ বাড়ী থেকে হৃদয় হোসেনকে গ্রেফতার করে থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হৃদয় হোসেন শিবালয়ের আরুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শালজানা এলাকার আজিজ খানের ছেলে। তিনি পেশায় অটোবাইক চালক।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকা জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
এ ঘটনায় গত ২৩ মার্চ মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনালে মিস পিটিশন মামলা দায়ের করা হয়।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় বখাটে অটোবাইক চালক হৃদয় হোসেন রাস্তাঘাটে ওই স্কুলছাত্রীকে উত্যক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিয়ে থাকতো। ওই স্কুলছাত্রী তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৩ই মার্চ রাতে ওই স্কুলছাত্রী ঘরের বাহিরে টয়লেটে যায় এবং ওৎ পেতে থাকা হৃদয় হোসেন ওই স্কুলছাত্রীকে চেতনানাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এরপর সাভারের নবীনগর এলাকার একটি ভাড়াবাসায় ওই স্কুলছাত্রীকে আটকিয়ে রাখেন এবং টানা ৬দিন তাকে ধর্ষণ করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত খাবারের অভাব আর ধর্ষণের ফলে এক পর্যায়ে ওই স্কুলছাত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন হয়ে যায়। পরে ১৯ মার্চে গোপনে সংকটাপন্ন অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রীকে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দিয়ে চলে আসেন বখাটে হৃদয় হোসেন।
নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর ভাই জানান, হৃদয় হোসেন বোনকে বাড়িতে দিয়ে যাওয়ার পর প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এরপর শিবালয় থেকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু সদর হাসপাতালে কয়েকদিন চিকিৎসার পর তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক তাকে জাতীয় মানসিক হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এঘটনায় শিবালয় থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেন।
এবিষয়ে শিবালয় থানার ওসি মো.কামাল হোসেন জানান, আদালতে মামলার পর আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হবে।
আরও পড়ুন: