
ছবি : বাংলা এডিশন
বহুল আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ফাঁসি ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর দুইটার দিকে কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের গেটের সামনে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিও জানান তারা।
কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন শহীদ আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ (বুলু), ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ, জিলা স্কুলের বর্তমান ও সাবেক ছাত্রসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ বলেন, আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা হোক। দ্রুত ফাঁসি দেয়া হোক। যাতে ভবিষ্যতে এধরণের নির্মম নৃশংস হত্যার ঘটনা না ঘটে।
মানববন্ধনে জিলা স্কুলের বর্তমান ও সাবেক ছাত্ররা বলেন, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সাবেক ছাত্র ও বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় এইরকম স্পর্শকাতর মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনতাসির আল জেমি গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যায়। এর প্রায় দীর্ঘ সাত মাস পরে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষইয়টি জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি ঘটনা।
তারা আরও বলেন, এ ঘটনা নিয়ে জনগণের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষোভ এবং উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রায় সাত মাস পর এ ঘটনার প্রকাশ্যে আসা আরও প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে এতদিন কারা কর্তৃপক্ষ কী করছিল? কেন এত দেরি হলো জানাতে? একজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির এভাবে পালিয়ে যাওয়া কারা ব্যবস্থাপনার গুরুতর ব্যর্থতা এবং বিচারপ্রক্রিয়ার প্রতি চরম অবহেলার ইঙ্গিত দেয়। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মোর্শেদজামান মণ্ডল জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম ও মুজতবা রাফিদ এই তিনজন মামলার শুরু থেকেই পলাতক। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করুন।
মানববন্ধনে উপস্থিত কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষার্থী নূর ইসলাম, ফাহাদ, আফজাল, রেদওয়ান, আমির হামজা বাংলা এডিশন কে বলেন, কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলার ২০ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রায় দ্রুত কার্যকর করতে হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। কারা ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। মামলার রায় দ্রুত কার্যকর করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে যেন কোনো মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত বা দন্ডপ্রাপ্ত আসামি পলায়ন করতে না পারে, সে জন্য কারাগারে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: