
বরিশালে ডাকাতদের ছবি ধারণ করায় সাংবাদিকের মোটেরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাড়িসহ তার অনুসারীরা। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে বরিশাল নগরীর কোর্ট কম্পাউন্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তখন পালিয়ে যায় সোহেল রাড়িসহ ছাত্রদল নেতা আলমাস, ইমরানসহ ১০-১৫ জন নেতাকর্মী।
এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি তুলেছেন বরিশালের গণমাধ্যম কর্মীরা। পেশাগত কাজে গিয়ে এমন হামলার ঘটনা গণমাধ্যমের জন্য অশনি সংকেত বলে মনে করছে নগরীর সচেতন নাগরিকরা।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বরিশাল নগরীর একটি স্থানীয় গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিক হিসেবে কর্মরত।
ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে কোর্ট কম্পাউন্ডে ডাকাতি মামালার আসামিদের ছবি ধারণ করেন সাংবাদিক আলামিন। এসময় কয়েকজন যুবক উত্তেজিত হয়ে ফটো সাংবাদিক এন আমিন রাসেলের মোটর সাইকেলটি পুড়িয়ে দেয়।
ভূক্তভোগী সাংবাদিক এন আমিন রাসেল বলেন, কয়েক দিন আগে বরিশালের বাবুগঞ্জের পাঁচ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সেই ডাকাতি মামলার আসামিদের কারাগার থেকে বরিশাল আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে আসে পুলিশ। তখন ওই আসামিদের ছবি ধারণ করতে গেলে প্রথমে বাঁধা দেয় বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাড়ি। এরপর ছবি তুলতে থাকার অপরাধে সোহেল রাড়ি, আলমাস, ইমরানসহ ১০-১৫ জন ছাত্রদল নেতাকর্মী আমার মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়।
আরও পড়ুন: