
সংবাদ প্রকাশের জেরে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সংবাদদাতা মানবেন্দ্র চক্রবর্তীকে হুমকি দিয়েছেন পৌর বিএনপি নেতা নূরে আলম বাবুল। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সাংবাদিক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী বাদী হয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। যার নম্বর- ২৯৫।
এর আগে বাবুলের বিরুদ্ধে পুলিশকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে আরও একটি জিডি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অভিযুক্ত বাবুল সিংগাইর পৌর এলাকার গোবিন্দল মহল্লার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে। তিনি পৌর বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর। অপরদিকে, ভুক্তভোগী সাংবাদিক মানবেন্দ্র চক্রবর্তী পৌর এলাকার মধ্য সিংগাইর মহল্লার মৃত সুবোধ কুমার চক্রবর্তী ছেলে।
জানা গেছে, গত ৭ এপ্রিল দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় " সিংগাইরে আসামি ছাড়িয়ে নিতে থানায় ঢুকে দুই যুবদল নেতা গ্রেফতার" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জেরে ওইদিন সকাল ১১ টা ২৭ মিনিটে নূরে আলম বাবুল তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর ০১৭৫২২৩২৭১৭ থেকে মানবেন্দ্র চক্রবর্তীর মুঠোফোনে গালমন্দ,হাড় ভেঙে দেয়াসহ পূর্বের কথা স্মরণ করিয়ে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। বিবাদীর দ্বারা ভবিষ্যতে ওই সংবাদকর্মীর বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে জিডিতে উল্লেখ করেন। অভিযুক্ত নূরে আলম বাবুল সাংবাদিককে হুমকির কথা অস্বীকার করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে থানায় দালালি করেছি এমন মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করেছে সে।
মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার মোছা:ইয়াসমিন খাতুন বলেন, বাবুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানার ওসিকে বলা হয়েছে। থানার ওসি তৌফিক আজম বলেন, এখানে যোগদান করার পর জানতে পেরেছি, আগে থেকেই বাবুল চিহ্নিত দালাল। আমার এক এসআইকেও দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে কেন তার লোক গ্রেফতার করলাম।
এ ব্যাপারে সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মঈনুল ইসলাম খান শান্ত বলেন, রাজনৈতিকভাবে বিএনপি একটা বড় শক্তিশালী দল। আমরা তো আর ক্ষমতায় আসিনি। আমি এমপি না বলে এগুলো পুরোপুরি বন্ধ করার সুযোগ পাচ্ছি না৷ দলে খারাপ লোকদের ঠাঁই নেই এবং আমি পছন্দও করি না।
হুমকির নিন্দা জানিয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক আফরোজা খান রিতা বলেন, থানায় মাতলামি করার কারণে ওদের দল থেকে বহিস্কার করেছি বলেইতো নিউজ হয়েছে। বাবুল কেন সাংবাদিককে হুমকি দেবে? দলের হলেও আমি তাকে পছন্দ করি না।
আরও পড়ুন: