
কুষ্টিয়ায় ছোট ভাই আশরাফুল ইসলামকে চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিট ও তার বড় ভাই ছুরমান খানকে মারপিট করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকালে কুষ্টিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের চর থানাপাড়া এলাকা থেকে ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহত ছুরমান খান কুষ্টিয়া শহরের চর থানাপাড়া এলাকার আব্দুল কালাম খানের ছেলে। তিনি
এক মেয়ে সন্তানের বাবা। তিনি রিকশাচালক ছিলেন। তার ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম কুষ্টিয়া শহরের মিশন স্কুলের বিপরীতে প্রতিবেশী হাকিমের হালিমের দোকানে কাজ করতেন। এ ঘটনায় জড়িত হাকিম, নিতু ও হাকিমের স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ মার্চ রাতে প্রতিবেশী হাকিম নিজের বাড়িতে চুরি হয়েছে বলে দাবি করে৷ এবং আশরাফুল ইসলামকে চুরির অপবাদ দেন। চুরির অপবাদ দিয়ে মঙ্গলবার তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং মারধর করেন। একইসাথে জোরপূর্বক সাদা কাগজে সাক্ষর করে নেন।
এর জের ধরে ছুরমানকে মারপিট করে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন এবং লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠান।
মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন ওসি মোশাররফ হোসেন।
আরও পড়ুন: