
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে ডেভিল হান্ট অভিযানে আওয়ামী লীগ নেতা মুক্তার হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। সে উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য।
মঙ্গলবার দুপুরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিশেষ অভিযানে আটক মুক্তার হোসেনকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শিবালয় থানার ওসি মো. কামাল হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিগত আওয়ামী শাসনামলে দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে মুক্তার হোসেন ও তার দুই ছেলে আমিনুর ইসলাম মিনু ও মফিজুল ইসলাম তোতা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। ২০০২ সালে মেম্বার নির্বাচিত হয়ে টানা ৯ বছর জনপ্রতিনিধিত্ব করেন।
মেম্বার থাকাকালীন অবস্থায় কাউয়ারবিল কালি মন্দিরের ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে বিষয়টি মন্দির কমিটি জানতে পারলে লামসাম টাকা ফেরত দিয়ে বিষয়টি মিসাংসা করে। ওই সময়ই রঘুনাথপুর থেকে দড়িকান্দি রাস্তার মাটিভরাটের বরাদ্দের এক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেন বলে এলাকার একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
আওয়ামী নেতা মুক্তার হোসেন ও ছেলে আমিনুর রহমান মিনু ২০১৩ সালে কাউয়ারবিল কালি মন্দির ভাঙ্গচুরের সাথে জড়িত ছিলেন বলে জানান স্থানীয় সনাতন ধর্মাবলম্বী নিরঞ্জন সরকার ও তার ভাগিনা সুমীর চন্দ। এছাড়াও ২০১৪ ও ২০১৮ সালের ভোট ডাকাতির নির্বাচনে যুবলীগের হয়ে কাজ করেছেন মুক্তার মেম্বারের দুই ছেলে।
মুক্তার মেম্বারের আটকের বিষয়ে শিবালয় থানা ওসি জানান, ৫ই আগস্ট উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও নাশকতায় দায়েরকৃত মামলায় তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: