
প্রতিকী ছবি
পরিকল্পিতভাবে বাগ্বিতন্ডা তৈরি করে অস্ত্রের মুখে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী কলেজের দুই শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টা নাগাদ রাজশাহীর শিরোইলে ঘটে এই ঘটনাটি।
ছিনতাইয়ের শিকার ঐ দুই শিক্ষার্থী হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে অধ্যায়নরত বিজয় চন্দ্র এবং রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম হোসেন।
বিজয় বাংলা এডিশনকে জানিয়েছেন, তিনি বিনোদপুর থেকে নগরীর বর্ণালীর উদ্দেশ্যে একটি অটোরিকশায় যাচ্ছিলেন। রিক্সাটির পেছনের সিটে তার পাশেই বসা ছিলেন রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মোয়াজ্জেম। এবং যাত্রীদের ভেতরে চালকের একপাশে ছিলেন রাবির ভূমি প্রশাসন এবং আইন বিভাগের শিক্ষার্থী স্বাগতম চন্দ্র বর্মণ।
তারা শহরের ভদ্রায় পৌছালে আরো দুজন লোক ওঠে ঐ রিকশাটিতে। যদিও ততক্ষণে সংকুলান ছিলো কেবল একজন যাত্রীর। তখন ঐ দুই যাত্রীর একজন পেছনে আরেকজন সামনে চালকের পাশে বসা স্বাগতমকে ঘেষে চাপাচাপি করে বসে পড়ে।
অটোরিকশাটি শিরোইলে পৌছালে স্বাগতমের পাশে বসা অজ্ঞাত ঐ লোকটি স্বাগতমের পা তার পায়ে লেগেছে বলে বেয়াদবির অভিযোগ তোলে। অথচ পায়ে পা লকগার মতো কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ঐ লোকটি ইচ্ছাকৃতভাবে বাগ্বিতণ্ডা সৃষ্টি করে এবং অভিযোগ তোলে রিক্সার সকল স্টুডেন্টদের সাথে অস্ত্র আছে।
এক পর্যায়ে অস্ত্র এবং প্রাণনাশের হুমকির মুখে সকলের মানিব্যগ দাবী করে। পরে বিজয়ের মানিব্যাগ থেকে ৮০০ টাকা এবং মোয়াজ্জেমের মানিব্যাগ থেকে ৪ হাজার ৬০০ টাকা হস্তগত করে ঐ লোকটিসহ তার সাথে থাকা অন্য লোকটি।
বিজয় জানান, তাদের সাথে পরে আরো দুজন লোক যোগ দেন। যারা বিজয়দের রিক্সার পেছনে আরেকটি রিক্সায় এতক্ষণ তাদেরকে অনুসরণ করছিলেন।
ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় বিজয়,মোয়াজ্জেম এবং স্বাগতম প্রতিবাদ জানালে ঐ ৪ জন লোক তাদের চর-থাপ্পর মারে এবং জীবননাশের হুমকি প্রদান করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
তবে ভুক্তভোগী মোয়াজ্জেমের নিকট ঘটনাটি একটি মাদকাসক্ত কিশোর গ্যাংএর কাজ মনে হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।কেননা,তিনি তাদের হাতে এবং শরীরে বিভিন্ন স্থানে কাঁটাছেড়া এবং ট্যাটু লক্ষ্য করেছেন।
পরে ভুক্তভোগী বিজয় এবং মোয়াজ্জেম বোয়ালিয়া মডেল থানায় এ ঘটনায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাক আহমেদ বাংলা এডিশনকে জানিয়েছেন, এরকম একটি ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ তৎপর রয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলের আশাপাশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: