
নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে স্থাপন করা সিসি টিভি ক্যামেরা নষ্ট হয়ে পড়েছে। কার্যত অচল হয়ে পড়েছে পর্যক্ষেন সুবিধা। ফলে শহরে আইনশৃংখলার অবনতি ঘটেছে। নিয়মিত চুরি, ছিনতাইমহ নানা অপকর্ম ঘটে চলেছে। এতে করে ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বক্ষনিক নজরদারি, সড়কের যানজট নিয়ন্ত্রন ও দুর্ঘটনার প্রকৃত তথ্য জোগাড় করতে ২০১৭ সালে পুলিশ প্রশাসন, উপজেলা ও পৌর প্রশাসন ও শহরের ব্যবসায়ী মহলের সহযোগীতায় গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাগানো হয়েছিলো প্রায় ৬০টি সিসি টিভি ক্যামেরা। সেগুলোর অধিকাংশের এখন নাই কোন অস্থিত্ব। দুই একটির দেখা মিললেও নষ্ট হয়ে গেছে কার্যক্ষমতা। এখন খুঁটিতে ঝুলছে শুধুমাত্র তারের জঞ্জাল।
শহরের প্রায় তিন লাখ মানুষের ঘন জনবসতির
ব্যস্ততম শিল্প ও ব্যবসা সমৃদ্ধ শহর সৈয়দপুর পৌরসভা। নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষের শহর হওয়ায় আইনশৃংখলার কিছুটা অবনতি ও যানজটের চাপ সামলাতে ও অপরাধী সনাক্তে এসব সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। শহরটি সিসি টিভির আওতায় আনার পর শহরের আপরাধ প্রবনতা অনেকাংশে কম হয়েছিলো বলে জানিয়েছেন শহরের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। কিন্তু সিসি টিভি ব্যবহার সম্পুর্ণভাবে বন্ধ থাকায় ও গত ৫ আগষ্টের গণ অভ্যুথ্যান পরবর্তী সময়ের পর শহরে সব ক্ষেত্রেই অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফইম উদ্দিন বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো অনেক আগে লাগানো। এগুলো সচল করার উদ্যোগ ও চিন্তাভাবনা চলছে। সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ সৈয়দপুর শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা খুব প্রয়োজন। যে সময় সিসিটিভির কার্যক্ষমতা ছিলো তখন শহরে অপরাধ কম ছিলো।
এ প্রসঙ্গে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন, ইতোমধে আমরা সব মহলে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। দ্রতই সবার সহযোগিতায় আবারো শহরকে সিসি টিভির আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: