
সাভারে আবারও যাত্রীবাহী বাসে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাস যাত্রীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ব্যাংটাউন ব্রিজের উপরে সাভার পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী বাসযাত্রী সাভার প্রেসক্লাবের সদস্য তায়েফুর রহমান জানান, আমি সাভার পরিবহনের একটি বাসে করে পরিবার নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিলাম। বাসটি ব্যাংক টাউন বাসস্ট্যান্ডে থামানো হলে তিনজন যুবক গাড়িতে ওঠে। পরে গাড়িটি ব্যাংকটাউন ব্রিজের উপর পৌঁছালে মহিলা যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের সাথে থাকা মোবাইল ফোন, গলার চেইন, কানের দুলসহ স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে নেমে যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার স্ত্রীর গলায় থাকা লক্ষাধিক টাকা মূল্যের লকেটসহ এক ভরি ওজনের সোনার চেইন নিয়ে গেছে। এ সময় অন্যান্য নারী যাত্রীদের কাছ থেকে একইভাবে নগদ টাকা স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমার কাছে মনে হচ্ছে বাসটির চালক এঘটনার সাথে জড়িত রয়েছে। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলে তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে গেন্ডা এলাকার লোকজন জানিয়েছেন,গেন্ডা মোল্লা মার্কেট এলাকার মোছা মিয়ার ছেলে গাড়ী চালক রফিক মিয়া ও একই এলাকার মৃত আবদুল কাদের ছেলে গাড়ী চালক সিরজন আলী দিন-দুপুরে চলন্ত বাসে ছিনতাই ও বাস যাত্রীদের মোবাইল ফোন, নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলেও জানা যায়।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা এটিকে ছিনতাইয়ের ঘটনা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সার্বক্ষণিক টহল টিম রয়েছে। ঘটনার সময়ও গেন্ডা এলাকায় আমাদের সদস্যরা কাজ করছিলো। সাভার পরিবহনের বাসে ছিনতাই এর ঘটনাটি জানতে পেরেছি ছিনতাইকারীদের ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অপরদিকে এর কিছু ক্ষণ পরে মহাসড়কের সিএনবির আগে রাজধানী পরিবহনে তিন ডাকাত উঠে ধারালো ছুরির ভয় দেখিয়ে যাত্রীদের কাছে থেকে নগদ টাকা পয়সা ও স্বর্ণলঙ্কার লুটে নিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
এবিষয়ে সাভার সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবিরকে একাধিক বার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এর আগে মহাসড়কটির একই স্থানে বেশ কয়েকটি চলন্ত যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: