রবিবার

২০ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মামলার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:০২

শেয়ার

ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধেই মামলার অভিযোগ
ছবি :বাংলা এডিশন

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সাপ্তাহিক হাটের দিনে একটি বাজারে হামলায় ইজারাদার ও তার আপন দুই ভাইসহ  আহত হয় ৬ জন। গত ০৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় উপজেলার মমিনপুর বাজারে এ হামলার অভিযোগ ওঠে হাটের নতুন ইজাদার (পহেলা বৈশাখ থেকে) মো. রুবেল ও স্থানীয় প্রভাবশালী নুর মোহাম্মদ আকনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আমিনুল ইসলাম বাংলা এডিশন কে জানিয়েছেন, আগামী পহেলা বৈশাখ (১৪এপ্রিল) থেকে বাজারের দায়িত্ব নেয়ার কথা নতুন ইজারাদার মো. রুবেলের। বর্তমান ইজাদারকে ১৩ এপ্রিল দায়িত্ব হস্তান্তরের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা ও ভুক্তভোগীরা জানান, ১৪এপ্রিল থেকে নতুন ইজাদারের বাজারের দায়িত্ব নেয়ার কথা থাকলেও ০৯ এপ্রিল দুপুরেই সাপ্তাহিক হাটের অতিরিক্ত টাকা পাওয়ার আশায় বাজার দখলের চেষ্টা করেন তার অনুসারীরা। এসময় বর্তমান ইজাদার কুদ্দুস বয়াতীর লোকজন বাধা দেয় এবং সংঘাত ছাড়াই তখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। কিন্তু সন্ধ্যার পরেই দেশীয় অস্ত্রসহ বাজারে অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্ত রুবেল ও নুর মোহাম্মদের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ব।  

হামলার ঘটনায় বাজারের বর্তমান ইজাদার  আব্দুল কুদ্দুস বয়াতী (৫৫), রেজাউল বয়াতী (৪৫) এবং মামুন বয়াতী (৩৫) নামের আপন তিন ভাই ও তাদের ভাতিজা ইমরান (২৮) গুরুতর জখম হয়।  সংকটাপন্ন অবস্থায় তাদের বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে মাথায় কাটা জখম নিয়ে কুদ্দুস বয়াতী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ওই হামলায় আরও আহত হয় বাজারের তিনজন ব্যবসায়ী। ঘটনায় সময় বাজারে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সামান্য আহত হন হামলাকারীদের মধ্যে একজন। 

এদিকে, এঘটনায় ১০ এপ্রিল কুদ্দুস বয়াতীর ভাতিজা ও হামলায় আহত ইমরান অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বাউফল থানায় মামলা দায়ের করেন। এই খবর পেয়ে অভিযুক্ত নুর মোহাম্মদ তার স্ত্রী তহমিনাকে দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করায়। এতে আসামি করা হয়েছে, তাদেরই হামলায় আহত কুদ্দুস বয়াতী ও দুজন আপন ভাইসহ একাধিক ভুক্তভোগীকে। থানা পুলিশ সেই মামলা ১১ এপ্রিল এফআইআরও করেন। ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে মামলার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। আর পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভুক্তভোগীরাই। 

ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার তদন্ত অফিসার ও বাউফল থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক মশিউর রহমান বলেন, তাদের একজন আহত হয়েছেন। তিনি হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাই অভিযোগ প্রাপ্ত হয়ে মারামারির ধারায় মামলা হয়েছে। তদন্ত চলমান আছে, মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদনে সব বিষয় উঠে আসবে বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে বাউফল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আতিকুল ইসলাম বাংলা এডিশন কে বলেন, 'মামলা এফআইআর করার বিষয়টি জানতে পারিনি। তবে বিনা কারণে কাউকে হয়রানি করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন তিনি।'

banner close
banner close