
ছবি : বাংলা এডিশন
ভোলায় দুই চিকিৎসক কে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে সকাল থেকে কর্মবিরতি পালন করে তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান কে অবরুদ্ধ করে রেখেছে স্টাফরা। ১৩ই এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর ১:৩০ পর্যন্ত এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কর্মবিরতি ও অবরুদ্ধ রয়েছে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ ভর্তি থাকা ও আগত রোগীরা। কর্মবিরতি পালনে নেতৃত্ব দেওয়া ওয়ার্ড মাষ্টার হোসেন রাব্বি বলেন, একজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে গত শুক্রবার ডাক্তার নাইমুল কে লাঞ্ছিত করা হয়েছে এবং গতরাতে আলেফা খাতুন (৬৫) নামের আরেক রোগীর মৃত্যু হওয়ার পর ও স্বজনরা ডাক্তার এফরান মাহমুদ কে লাঞ্ছিত করা হয়েছে।
এ ভাবে চলতে থাকলে আমরা কি ভাবে সেবা দিবো? আমাদের নিরাপত্তার অভাব হলে সেবা দিতে পারবো না। তাই আমরা সকাল থেকে কর্মবিরতি দিয়েছি এবং তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান ও সিভিল সার্জন কে অবরুদ্ধ করে রেখেছি। আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করবো। একই কথা বললেন পরিচ্ছন্নতা কর্মী রূপা আকতার, তিনি বলেন আমাদের দাবী না পর্যন্ত তত্ত্বাবধায়ক স্যার অবরুদ্ধ থাকবে।
এদিকে হাসপাতালের স্টাফ ও চিকিৎসকরা রোগীদের সেবা বন্ধ করায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা। মুমূর্ষু অবস্থায় অনেক রোগীরা জরুরী বিভাগ থেকে ফেরত যেতেও দেখা গেছে। হাসনুর নামের এক রোগীর স্বজন বলেন, এমনেই সেবা নাই, টাকা ছাড়া কিছু হয় না তারপর আবার এ কর্মবিরতি, ভোলায় বাড়ী হয়ে পাপ করেছি। ভোলা বাড়ী না হলে তো রোগী নিয়ে এখানে এসে এ বিপদে পড়তাম না।
রাজাপুর থেকে আসা রোগীর স্বজন সজিব বলেন, ভোলায় এমন কোন নেতা নেই চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে। হাসপাতালে এমনেই রোগীরা এসে অবহেলায় থাকে আবার কিছু থেকে কিছু হলে তারা সেবা বন্ধ করে দেয়। এ বিষয়ে ভোলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ওয়ার্ড মাষ্টার হোসেন রাব্বি সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দেওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অবরুদ্ধ হওয়া তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান এর রুম থেকে বের হয়ে সিভিল সার্জন ডাক্তার মুনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আলোচনা করছি, দ্রুতই এ বিষয়ে সমাধান হবে এবং চিকিৎসা সেবায় যাতে বিঘ্ন না ঘটে না হয় সে বিষয় দেখতেছি।
আরও পড়ুন: