ছবি : বাংলা এডিশন
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির মধ্যেই হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সহ সমন্বয়ক এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায় শাখার সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু খান।
বুধবার দুপুর ১২টার দিকে শাহাপুর ফাঁড়িতে গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয় বলে ফেসবুক লাইভে অভিযোগ করেন তিনি।
ফেসবুক লাইভে মেহেদী হাসান বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। শাহাপুর ক্যাম্পে পুলিশের সামনে, এসআইয়ের সামনে আমাকে মারধর করা হয়েছে। আমাকে যখন মারধর করছে তখন আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির লোকজন ছিল সেখানে। গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে মারধর করা হয়।
কিছুক্ষণ পর আরেকটি ফেসবুক লাইভে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘অনেকে যারা ফোন দিচ্ছেন, আমি ধরতে পারছি না। আমি এখনো শাহাপুর ক্যাম্পেই আছি। শুধু প্রতিহিংসার কারণেই আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। আর আমি যদি মারাও যাই, আমি বিএনপির যে কয়জনের নাম বলে গেছি তারা দোষী। আমার ওপর হামলায় বেশিরভাগ জড়িত ছিল গড়াইটুপি ও আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের লোকজন।’
এ বিষয়ে শাহাপুর পুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি উপ-সহকারী পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মামুন বলেন, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমরা বসেছিলাম। সেটা সমাধানও হয়েছে। বাবু ভাইদের দলিলপত্র সবই ঠিক আছে। যখন বাবু ভাইরা চলে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ কিছু লোকজন এসে তাকে চড় মারে।’
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস বলেন, আমার ক্যাম্পের আইসি বিষয় মীমাংসা করেদিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক বাবুকে বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখোনো কোনো লিখিত অভিযোগ পায়নি।
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত গড়াইটুপি ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন:
