
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী, বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল আলমের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক শেষে পাটগ্রাম উপজেলার খারিজা জোংড়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মরদেহ হস্তান্তর হয় বলে পাটগ্রাম থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার জানান।
তিনি বলন, ‘ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের পরিবারকে মরদেহ বুঝিয়ে দেয়া হয়।’
নিহত হাসিবুল আলম হাতীবান্ধা উপজেলার সিঙ্গিমারী ইউনিয়নের পশ্চিম ডাওয়াবাড়ী গ্রামের জাহিদুল আলমের ছেলে।
সীমান্তের বাসিন্দারা জানান, বুধবার দুপুরে হাসিবুল কয়েকজনের সঙ্গে সীমান্তের ৮৯৪ নম্বর পিলারের কাছে ঘাস কাটতে গেলে বিএসএফের সদস্যরা বাংলাদেশ সীমান্তে প্রবেশ করে তাদের ধাওয়া করে এবং গুলি ছোড়ে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হাসিবুলকে তারা ভারতের ভেতরে নিয়ে যায়। পরে কোচবিহার জেলার এম জে এন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
হাসিবুলের মরদেহ পৌঁছানোর পর তার গ্রামের বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনদের আহাজারিতে ভারি হয়ে ওঠে পরিবেশ। পরে রাত ১টার দিকে পারিবারিক কবরস্থানে হাসিবুলকে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: