শনিবার

১৯ এপ্রিল, ২০২৫
৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২২ শাওয়াল, ১৪৪৬

বড়াইবাড়ি দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি স্থানীয়দের

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল, ২০২৫ ২৩:৩৭

শেয়ার

বড়াইবাড়ি দিবসকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও জাতীয় দিবস ঘোষণার দাবি স্থানীয়দের
ছবি: বাংলা এডিশন

বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালিত হয়েছে ঐতিহাসিক বড়াইবাড়ি দিবস। সকাল সাড়ে ১০টায় কুড়িগ্রামের রৌমারী সীমান্তের বড়াইবাড়ি এলাকায় এ দিবসটি পালন করা হয়।

বড়াইবাড়ি বিজিবি ক্যাম্পের সামনে গ্রামবাসীর উদ্যোগে শহিদ ৩ বিডিআর জওয়ানের স্মরণে স্মৃতিফলকে পুষ্পমাল্য অর্পণ, র‍্যালি, আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় সাবেক বিডিআর কর্মকর্তারা ২০০১ সালের বড়াইবাড়ি যুদ্ধের সাহসিকতার স্বীকৃতিস্বরূপ গ্রামটিকে ‘বীর গ্রাম’ হিসেবে আখ্যায়িত করে গ্রামের একটি প্রতীকী ব্যানার গ্রামবাসীর হাতে তুলে দেন।

‘বড়াইবাড়ি দিবস’ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মো. জয়নাল আবেদীন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ময়মনসিংহ সরকারি আনন্দ মোহন কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর তসলিম উদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মো. জামাল হায়দার, বড়াইবাড়ি বিওপি কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আনজু মিয়া, যাদুরচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, রৌমারী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুর রাজ্জাক, রাজীবপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোখলেছুর রহমানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

প্রতিবছর দিবসটি পালন করলেও এখনো কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তারা বলেন, ‘২৩ বছর ধরে আমরা ১৮ এপ্রিল বড়াইবাড়ি দিবস পালন করে আসছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এত বছরেও কোনো সরকারি সহায়তা পাইনি। আমাদের নিজেদের উদ্যোগেই আয়োজন করতে হয় এই দিবস।’

রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবি জানিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল এবং বড়াইবাড়ি যুদ্ধের বীরযোদ্ধা লাল মিয়া বলেন, ‘আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করেছি। অথচ আমাদের সম্মানিত তো করা হয়নি, বরং সে সময় বিডিআর মহাপরিচালক ফজলুর রহমানকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। আজ ২৩ বছর পেরিয়ে গেলেও ‘বড়াইবাড়ি দিবস’ এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। আমরা সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই, এই দিবসটিকে জাতীয় দিবস ঘোষণা ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়া হোক।’

উল্লেখ্য, ২০০১ সালের ১৮ এপ্রিল ভোরে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বড়াইবাড়ি গ্রামে অতর্কিত হামলা চালায়। তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে এবং সাধারণ মানুষের ঘরবাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। ২ দিনব্যাপী চলা সম্মুখযুদ্ধে ১৬ জন বিএসএফ সদস্য নিহত হন। এতে বাংলাদেশের তিন বিডিআর সদস্য শহিদ হন এবং ছয়জন সাধারণ মানুষ আহত হন।

 

banner close
banner close