
নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে জমির বিরোধ মিটাতে দেয়া ৫০ হাজার টাকা ও দলিল চাইতে বাড়িতে গেলে এক কৃষককে মারধর করা ও তার জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত যুবদল নেতার নাম মো. আজাদ। তিনি আন্ডারচর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব। ভুক্তভোগী কৃষক একই ইউনিয়নের পশ্চিম মাইজচরা গ্রামের বাসিন্দা মো. জহির আলম।
রোববার সকাল ১০টায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের পুরতন ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী কৃষক। এর আগে গত সোমবার উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। মারধর করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে শনিবার দুপুরে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
কৃষক জহির আলম জানান, উপজেলার মাইজচর এলাকায় তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ২ একর ৯০ শতক জমি দীর্ঘদিন ধরে তারা ভোগদখলে ছিলেন। এক সময় ইউনিয়ন কৃষকলীগের সভাপতি মনসুর আহমেদ মায়া বর্গা দেয়ার নাম করে ওই জমি নিজের দখলে নিয়ে নেন। এরপর ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর আন্ডারচর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আজাদ জমির সমস্যার সমাধান করবেন বলে আশ্বাস দিয়ে জহিরের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ও জমির কাগজ পত্র নেন। দীর্ঘ দিন পেরিয়ে গেলেও সমস্যার সমাধান করেননি।
জহির আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সোমবার চারদিন আগে আজাদ মেম্বারের বাড়ি গিয়ে জমির কাগজ পত্র ও টাকা চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর করেন।,
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মঞ্জুরুল আজিম সুমন বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: