
দেশের পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন এবং দাবিকে অযৌক্তিক ঘোষণা করেছে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদ। রবিবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম গেটে আয়োজিত কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের এক মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবিকে অযৌক্তিক ঘোষণা করা হয়।
মানববন্ধন শেষে সংবাদ সম্মেলনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ৬ দফা দাবির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদদের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে ৫ দফা দাবি উত্থাপন করেন। যা অবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবি জানান তারা।
মানববন্ধনে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দাবির বিরুদ্ধে কৃষিবিদ ঐক্য পরিষদের উপস্থাপিত দাবিগুলো হলো, প্রচলিত ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম ছাড়া কোনোভাবেই পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ রাখা যাবে না। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ব্যতীত ৯ম গ্রেডে পদোন্নতির কোনো সুযোগ রাখা যাবে না এবং ১০ম গ্রেডের পোস্টসমূহ গেজেটের আওতার বাইরে প্রচলিত কাঠামোতেই রাখতে হবে।
এছাড়া ১০ম গ্রেডের (উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা/ সমমান) চাকরিতে বিএসসি এবং ডিপ্লোমা সবার জন্য উন্মুক্ত করতে হবে। কৃষি / কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়ক স্নাতক ব্যতীত নামের সাথে "কৃষিবিদ" প্রত্যয় ব্যবহার করা যাবে না।
এ বিষয়ে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। কৃষিবিষয়ক ডিপ্লোমা বা কারিগরি শিক্ষাকে কৃষি বিষয়ক প্রতিষ্ঠান (কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর) এর অধীনেই রাখতে হবে।
কৃষিবিদদের আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচি এবং মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তৌওহিদুল ইসলাম আশিক, শেকৃবি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি আহমেদুল কবীর তাপশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর কবির, ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী নাঈম এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শেকৃবির আহ্বায়ক আসাদুল্লাহ নাঈমসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীরা ৬ দফা দাবি নিয়ে কিছুদিন ধরে আন্দোলন করছে।
তাদের ৬ দফা দাবির মধ্যে কয়েকটা আমাদের কাছে অযৌক্তিক ও আমাদের কৃষিবিদদের অধিকারের প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তাদের অযৌক্তিক দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ৫ দফা দাবিতে মানববন্ধন করছি এবং কর্তৃপক্ষেকে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। তবে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবিগুলোর পাশে আমরা থাকব।
আরও পড়ুন: