বৃহস্পতিবার

২৪ এপ্রিল, ২০২৫
১১ বৈশাখ, ১৪৩২
২৬ শাওয়াল, ১৪৪৬

আঙুর চাষে স্বপ্ন বুনছেন চুয়াডাঙ্গার দুইভাই

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল, ২০২৫ ১২:০৭

শেয়ার

আঙুর চাষে স্বপ্ন বুনছেন চুয়াডাঙ্গার দুইভাই
আঙুর চাষে স্বপ্ন বুনছেন চুয়াডাঙ্গার দুইভাই।

ড্রাগন, মাল্টা ও লেবুর পাশাপাশি বিদেশী ফল আঙুর চাষ করে রীতিমতো তাক লাগিয়ে দিয়েছেন চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার দুই ভাই লাল মিয়া ও তরিকুল ইসলাম। আঙুর চাষে স্বপ্ন বুনছেন এই দুই কৃষি উদ্যোক্তা।

প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে কিছু গাছ রোপণ করেন তারা। সেসব গাছে আসে ফল। স্বাদ মিষ্টি হওয়ায় এক বছর আগে সাড়ে তিন বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে আঙুর বাগান করেন দুই ভাই। গাছে এসেছে অভাবনীয় ফলন।

সরেজমিনে দেখা যায়, সুতা ও বাঁশের তৈরিকৃত মাচায় সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে থোকায় থোকায় ঝুলে আছে আঙুর। তবে এখনো পরিপক্ব হয়নি। আর ২০-২৫ দিন পর সবুজ রঙের এই আঙুর হয়ে হবে লাল ও কালো রঙ ধারণ করবে। খেতে হবে রসালো মিষ্টি।

বিদেশি এই ফলের পর্যাপ্ত ফলন পেতে নিয়মিত পরিচর্যা করতে হয় বাগান। সেজন্য আছে আলাদা শ্রমিক। বাগান পাহারা দেওয়ার জন্য আছে পাহারাদার। নিয়মিত পরামর্ষ পেয়ে থাকেন উপজেলা কৃষি অফিসের।

কৃষি উদ্যোক্তা এই দুই ভাইয়ের স্বপ্ন, জীবননগরের মাটিতেই যদি আমরা আঙ্গুর উৎপাদন করতে পারি, তাহলে বিদেশ থেকে আমদানি কমবে। একইসাথে আমাদের এখানকার মানুষও লাভবান হবে।

উদ্যোক্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সব সময় নতুন নতুন ফলের চাষ করে আসছি। এ জন্য সাড়ে তিন বিঘা আঙুরের বাগান করেছি। প্রথমবারেই যেহেতু আমাদের বাগানে এরকম ফলন হয়েছে, আশা রাখছি ভবিষ্যতে আরও বেশি ফলন পাব।

লাল মিয়া বলেন, সাড়ে তিন বিঘা বাগানে ৭৫০টির মতো গাছ আছে। প্রতিটি গাছ থেকে গড়ে ১৫ কেজি করে আঙুর হারভেস্ট করতে পারব বলে আশা করছি। এ পর্যন্ত

 আমাদের ১৪ লাখ টাকা মতো খরচ হয়েছে। আশা করছি প্রায় ৩০ লাখ টাকার আঙুর বিক্রি করতে পারব।

সসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এইভাবেই জীবননগরের মাটিতে আঙ্গুর চাষ করে লাল মিয়া আর তরিকুল শুধু নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের নয়, বরং গোটা এলাকার কৃষির চিত্র বদলানোর সম্ভাবনা তৈরি করছেন। আঙ্গুর বাগান দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে প্রতিদিন মানুষ আসছেন এবং ছবি তুলে নিয়ে যাচ্ছেন। এখান থেকে আরও নতুন নতুন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি হবে।

উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আমানুর রহমান জানান, জীবননগরে আঙুর চাষে সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। প্রতিনিয়ত কৃষি অফিস থেকে তরিকুল ও লাল মিয়াকে সবরকম পরামর্শ দেওয়া হয়। কৃষি অফিস থেকে সব ধরনের সহযোগিতা তাদের করা হয়।

 

banner close
banner close