বৃহস্পতিবার

২৪ এপ্রিল, ২০২৫
১১ বৈশাখ, ১৪৩২
২৬ শাওয়াল, ১৪৪৬

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ

প্রতিনিধি,কুষ্টিয়া

প্রকাশিত: ২৩ এপ্রিল, ২০২৫ ২১:২২

শেয়ার

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই, হুমকির মুখে বেড়িবাঁধ
ছবি : বাংলা এডিশন
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পদ্মা ও গড়াই নদীতে বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঝেমধ্যে অভিযান চালানো হলেও বন্ধ হচ্ছে না বালু উত্তোলন। এতে হুমকির মুখে পড়েছে বেড়িবাঁধ।
 
কুষ্টিয়ার কুমারখালী জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে রাতের অন্ধকারে বালি ও মাটি তোলা হচ্ছে। স্থানীয় প্রভাবশালী বালু খেকো সিন্ডিকেট এস্কেভেটর মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করেন।
 
এদিকে একই জায়গা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অপরাধে ১৯ এপ্রিল কুমারখালীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে দুটি মামলায় এক লক্ষ টাকা জরিমানা করেন। 
 
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে হাসিমপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। 
 
স্থানীয়রা বলেন, কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার হাসিমপুর এলাকার আয়ুব মাস্টারের ছেলে টুটুল, কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড আলতাফের ছেলে লিটন, দয়রামপুরের হাবিবুর রহমান হবি মেম্বার সহ স্থানীয় প্রভাবশালীরা পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করেন বেশকিছুদিন ধরে। কয়েক দিন আগে প্রশাসন দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করে। এর দুইদিন পর আবারও বালু খেকো সিন্ডিকেট বালু উত্তোলন শুরু করে। দিনের পর দিন ও রাতের অন্ধকারে বালু উত্তোলন করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন দৃষ্টান্তমূলক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে কুমারখালীর পদ্মা গড়াই নদীর বিভিন্ন জায়গায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয়। স্থানীয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় অপরাধীরা এমন সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। 
 
হাসিমপুরের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী বালু খেকো সিন্ডিকেট  কৌশলে রাতভর বালু উত্তোলন করেন। হাসিমপুর এলাকায় পদ্মা নদীতে রাতের আধারে বালু উত্তোলন করছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। ভেকু দিয়ে বালু উত্তোলন করলে নদীর গতি পরিবর্তিত হচ্ছে এবং নদীর পাড় ভেঙে যাচ্ছে। বালু উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিরও ক্ষতি হচ্ছে। বেড়িবাঁধ ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। বালু খেকোদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। 
 
এ বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তারা কল রিসিভ করেন নি।  
 
এবিষয়ে কুমারখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিজয় কুমার জোয়ার্দার বাংলা এডিশন কে বলেন, গত ১৯ এপ্রিল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। শুনছি তারা আবারও অবৈধভাবে বালি কাটছে। কেউ যদি একই অপরাধ দ্বিতীয়বার করেন তাহলে জরিমানার পরিমান দ্বিগুণ হয়। ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 
এ বিষয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হাসিমপুর বাঁধের পাশ থেকে রাতের অন্ধকারে বালি তোলার কবর পেয়েছি। এ বিষয়ে খুব দ্রুতই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তৌফিকুর রহমান বাংলা এডিশন কে বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  
banner close
banner close