বৃহস্পতিবার

২৪ এপ্রিল, ২০২৫
১১ বৈশাখ, ১৪৩২
২৭ শাওয়াল, ১৪৪৬

দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা

সাভার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১৫:০৫

আপডেট: ২৪ এপ্রিল, ২০২৫ ১৫:৪৩

শেয়ার

দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা
সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।

ঢাকা জেলা পুলিশের মাসিক কল্যাণ, প্রশাসনিক ও অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা জেলার মিলব্যারাক পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, উক্ত মাসিক কল্যাণ ও অপরাধ পর্যালোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান। অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনায় ছিলেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) খায়রুল আলম।

এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেফতার, মামলা গ্রহণ, বিচারে সহায়তা, সড়ক শৃঙ্খলা ও ভিআইপি নিরাপত্তা-প্রটোকল, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াসহ অনেক দায়িত্ব পালন করে সার্বিক বিবেচনায় দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলা পুলিশের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হন সাভার মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা।

এর আগেও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) দায়িত্ব পালনকালে মামলার সুষ্ঠু তদন্ত করে রহস্য উদঘাটনের পর বিচারে সহায়তার জন্য ভূমিকা রাখায় বিশেষ সম্মাননা পুরস্কারে ভূষিত হন চৌকস এই পুলিশ কর্মকর্তা। সাভার মডেল থানায় যোগদানের পর কমিউনিটি পুলিশিং এবং সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমে অবদানের জন্য গত ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ অবসরপ্রাপ্ত অফিসার্স কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এস এম আহসান স্মৃতি পদক-২০২৪ পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি। এতে মোহাম্মদ জুয়েল মিঞার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও পৃষ্ঠপোষক পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। এত অর্জনের পরেও মুখে সরলতার ছাপ।

পুলিশের কাছে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু সেই প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা না পেলে মানুষ অসন্তুষ্ট হয়৷ এরপরও অবশ্য বিপদে মানুষ পুলিশের কাছেই ছুটে যায়৷ ছাত্র-জনতার জুলাই অদ্ভুত্থানের পর ২০২৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের স্থলাভিষিক হয়ে সাভার মডেল থানায় দায়িত্বভার গ্রহণ করে পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছেন মোহাম্মদ জুয়েল মিঞা৷

সাভার মডেল থানায় পুলিশি সেবা সহজ করে পুলিশকে আরও জনবান্ধব করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। তার অফিস কক্ষে সর্বোচ্চ সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সেবাপ্রার্থী নাগরিকদের কথা মনোযোগ দিয়ে শুনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তিনি। দ্বিতীয়বারের মতো ঢাকা জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ অর্জনে আরও এক ধাপ এগিয়ে নাগরিক সমাজের শুভেচ্ছায় ভাসছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

 

banner close
banner close