
ছবি : বাংলা এডিশন
চুয়াডাঙ্গার দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল হক পিপুলকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়েছেন দর্শনা পৌর বিএনপির সমন্বয় কমিটির সদস্য নাহারুল ইসলাম মাস্টার। এ ঘটনায় নাহারুল মাস্টারের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেছেন সাংবাদিক পিপুল।
জানা গেছে, জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা একালায় শাহিন আলী গং ও শাহাজাহান গং প্রায় তিন বিঘা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা রয়েছে। ঐ মামলায় ঘটনাস্থলে ১৪৪ ধারা জারি রেখেছেন আদালত।
গতকাল বুধবার সকালে শাহাজাহান গং দর্শনা থেকে ৪০/৫০ জনের শস্বস্ত্র দলবল নিয়ে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে লাগানো আদালতের সাইনবোর্ড সরিয়ে আম, মেহগনি, শেগুনসহ বেশ কয়েকটি গাছ কেটে নেয়।
এ বিষয় সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘঠনাস্থলে যায় ইকরামুল হক পিপুল। এরপরপরই স্থানীয় বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলাম সাংবাদিক পিপুলের মুঠোফোনে কল করে অকথ্য ভাষায় গালগালাজ করেন। এমনকি দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
এ প্রসঙ্গে ইকরামুল হক পিপুল বলেন, আমি আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে গাছ কাটার সংবাদ সংগ্রহ করে ফিরে আসার পর নাহারুল মাস্টার আমার হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে ফোন দিয়ে বলে যে, তার সম্পর্কে যেন কোন কথা না বলি আমি। তিনি বলতে থাকেন তোমার অনেক বাড় বেড়ে গেছে। বেশি বেড়ে গেলে তোমার বাড় কমিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, এসময় পাস থেকে একজন বলে ভাই ওকে তুলে নিয়ে আসবো তখন আমি বলি আপনার পাশ থেকে কে আমাকে তুলে নিয়ে যেতে চাই। প্রতি উত্তর না দিয়ে উনি আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। আর কোন দিন আমার নামে কোন কথা বলিলে বিষয়টা ভালো হবে না। কথাটা মাথায় নিও তুমি।
এই সময় আমি ওনাকে বলি আপনি হুমকি দিলেন পাশের একজন আমাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য বললো। আমি কি অন্যায় করেছি এমন প্রশ্নে তিনি বলেন আমার সম্পর্কে বাবু (মাহমুদ হাসান খান বাবু) ভায়ের কাছে তুমি খুব বাজে বাজে কথা বলছো। আমি তোমার বলছি তুমি বাবু ভায়ের কাছে আমার সম্পর্কে কোন কথা বলবা না। তার পরেও তুমি বাবু ভাইয়ের সাথে আমার সম্পর্কে আজে বাজে কথা বলো। তুমি জয়রামপুরে গিয়ে আমার নামে আজে বাজে কথা বলছো। জয়রামপুরে আমার ঘরে ঘরে লোক আছে। তারা আমাকে বলেছে আমার নামে খারাপ কথা বলেছো। এ সময় মোবাইল কনফারেন্সে থাকা জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক টুটুল ভাই তখন বলে না ভাই এমন কোন কথা হয় নাই। এ সময় ব্যাস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন নাহারুল মাস্টার।
পিপুল আরও বলেন, যেহেতু তিনি একটি রাজিনৈতিক দলের স্থানীয় নেতা। আমাকে ফোনে হুমকি দিয়েছে। আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমি প্রাণনাশের আশঙ্কা করছি। তাই প্রেসক্লাবে জরুরী মিটিংয়ের পর নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি জিডি করেছি।
সাংবাদিক পিপুলকে হুমকির ব্যাপারে বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলাম মাস্টারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে দর্শনা থানা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খাজা আবুল হাসনাত বলেন, নাহারুল ইসলাম পৌর বিএনপির নেতা। থানা বিএনপি আর পৌর বিএনপি সম্পূর্ণ আলাদা ইউনিট। সুতরাং এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই। তবে বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনেছি।
জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ তিতুমির বাংলা এডিশন কে বলেন, হুমকির বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।
আরও পড়ুন: