
ছবি : বাংলা এডিশন
কক্সবাজার শহরের প্রাণ বাঁকখালী নদীর দখল ও দূষণের ভয়াবহতা দেখলেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং নৌপরিবহন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন।
বৃহস্পতিবার সকালে কস্তুরাঘাট ও পেশকার পাড়ায় সরেজমিনে এসে তাঁরা বাঁকখালীর বুকে দখলদারদের রাজত্ব দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের নৌপরিবহন উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন জানালেন, শিগগিরই এখানে নদী বন্দর গড়ে তোলা হবে। এ জন্য সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। এ ক্ষেত্রে দখলদারদের নিজ থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, কক্সবাজারে ১২ হাজার বনভূমি পুনরুদ্ধার করা হবে। আর বাঁকখালী দখল নিয়ে হাইকোর্টে অনেকেই রিট করেছেন। তা আইনিভাবে মোকাবিলা করা হবে। এছাড়া সৈকতসহ ইসিএ এলাকায় গড়ে উঠা স্থাপনার লাগাম টেনে ধরা হবে।
জেলার প্রধান নদী বাঁকখালী এখন দখল-দূষণে মৃতপ্রায়। প্রতিদিনই প্রভাবশালীদের নগ্নথাবা চলছে বাকখালীর বুকে। প্রশাসনের সীমাবদ্ধতার অযুহাত এবং আইনী জটিলতা ও বেপরোয়া দখল প্রবণতা দেখিয়ে বেড়েই চলছে বাকখালী দখলের প্রতিযোগিতা। অনেকটা অভিভাবকহীন জেলার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নদী বাকখালী। উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শহরের ময়লা–আবর্জনা ফেলে নদীর তলদেশ ভরাট চলছে। নদীর জায়গা দখল ও প্যারাবন ধ্বংস করে গড়ে তোলা হয়েছে ১ হাজারের বেশি অবৈধ স্থাপনা। এক সময়ের শহরের প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র কস্তুরাঘাট এখন বড় এক আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তর, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও বিআইডব্লিউটিএ'র ২০২৩-২০২৪ সালের পৃথক প্রতিবেদনে বাঁকখালী নদী দখলে জড়িত ১৩১ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত আসে তা নিয়ে কৌতুহল এখন কক্সবাজারের সচেতন নাগরিক সমাজের মাঝে। এরমধ্যে কস্তুরাঘাট সংলগ্ন নির্মিত খুরুস্কুল সেতুর আশপাশ ঘিরে দখলে জড়িত রয়েছেন আরও ৫০ জনের মতো, যাদের মধ্যে ২৩ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তর মামলাও করেছে।
আরও পড়ুন: