রবিবার

২৭ এপ্রিল, ২০২৫
১৩ বৈশাখ, ১৪৩২
২৯ শাওয়াল, ১৪৪৬

হরিরামপুরে অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রি, ডিলার আটক

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:২৩

আপডেট: ২৬ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:২৭

শেয়ার

হরিরামপুরে অবৈধভাবে টিসিবির পণ্য বিক্রি, ডিলার আটক
ডিলার আটক।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর অবৈধভাবে খোলা বাজারে  টিসিবির পণ্য বিক্রির দায়ে মো. আনোয়ার হোসেন মন্ডল ওরফে আয়নাল মন্ডল (৬৫) মামের এক ডিলারকে আটক করে থানা পুলিশ। সে উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা এলাকার কছিমদ্দিনের ছেলে।

আনোয়ার হোসেন উপজেলার গোপীনাথপুর ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের  নিয়োগপ্রাপ্ত টিসিবির ডিলার।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে  বাজারের মুদি দোকানদার জগদীশ গুহের কাছে অবৈধভাবে টিসিবির পণ্যের ৩০ কেজির এক বস্তা চাল ১২ শ টাকায় বিক্রি করেন ডিলার আনোয়ার হোসেন। বিষয়টি এলাকাবাসীর নজরে পরলে আনোয়ার হোসেনের গোডাউন মা ট্রেডার্সে তালা লাগিয়ে জনতা। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে দুপুরে ঘটনাস্থলে আসে থানা পুলিশ। পুলিশ মা ট্রেডার্সের গোডাউন তল্লাসি করে ৩০ কেজির চার বস্তা চাল, ২ লিটারের ৮টি সোয়াবিন তেলের বোতল, ১৫ কেজি চিনি ও ৪ কেজি মসুর ডাল জব্দসহ ডিলার আনোয়ার হোসেনকে আটক করে।

নাওডুবি গ্রামের হ্যাপি চৌধুরি জানান, আনোয়ার হোসেন গোপীনাথপুর ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের টিসিবির ডিলার। সে বাস্তা বাজারে তার গোডাউন টিসিবির পণ্য মজুত করে  অবৈভাবে বাইরে বিক্রি করে। আজ সে জনতার হাতে ধরা পড়ে। আমরা প্রশাসনকে খবর দেই। প্রশাসন এসে গোডাউন তল্লাসি করে মালামাল পায় এবং তাকে আটক করে নিয়ে যায়। নিম্ন আয়ের মানুষের পণ্যগুলো এভাবে চুরি বিক্রি করায় আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

বাস্তা এলাকার  রিক্সা চালক ইদ্রিস জানান, গত তিন/চার মাস আগে মাচাইন বাজারে সে ৫০ কেজির ৩ বস্তা মসুর ডাল বিক্রি করছে। আমিই কাঞ্চনপুর থেকে এনে দিছি। আমি তখন বিষয়টি বুঝতে পারিনি। আজ বুঝলাম যে ওই দিনও সে চুরি করে মাল বিক্রি করছে।

বাস্তা বাজারের ব্যবসায়ী কাশেম জানান, আনোয়ার হোসেন অবৈধভাবে অন্য ইউনিয়নের টিসিবির পণ্য আমাদের এলাকায় এনে নিক্রি করছে অনেক দিন ধরেই। কিন্তু প্রমাণ না পাওয়ায় ধরতে পারিনি। আজ হাতে নাতে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। তারপর পুলিশকে জানানো হলে  ঘটনাস্থলে এসে মালামাল জব্দ করে এবং তাকে আটক করে নিয়ে যায়।

বাল্লা ইউনিয়নের সাবেক টিসিবির ডিলার রেজাউল করিম জানান, এক ইউনিয়নের পণ্য আরেক ইউনিয়নে দেয়ার কোনো সুযোগ নাই। অন্য ইউনিয়নের মালামাল এই ইউনিয়নে দেয়াই অবৈধ। আর বাইরে বিক্রি করার তো সুযোগই নাই। এটা সম্পূর্ণ আাইনত অবৈধ।

অভিযুক্ত আনোয়ার হোসেন জানান, কার্ডধারী অনেকেই মাল নিতে আসে না। মাল দেয়ার পরে বাকি যে মালামাল থেকে যায়, সেগুলো আইডি কার্ড নিয়ে আমরা অন্যদের দিয়ে থাকি। সেই কিছু মাল আমার ঘরে ছিল। আজ ওই মালামাল থেকে জগদীশের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে হরিরামপুর থানার উপপুলিশ পরিদর্শক মো. আবু সায়েম চৌধুরী জানান, আমরা ৯৯৯ এ কল পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি। ডিলার আনোয়ারের গোডাউন তল্লাসী করে কিছু চাল, ডাল,চিনি ও তেল পাই। মালামালগুলো জব্দ করে আনোয়ার হোসেনকে আটক করা হয়। পরবর্তী আইনগত ব্যবসা প্রক্রিয়াধীন।

হরিরামপুর থানা ওসি মুহাম্মদ মুমিন খান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়েছি। গোডাউন তল্লাসী করে মালামাল জব্দ করা হয়েছে এবং ডিলারকেও আটক করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে।

 

banner close
banner close