সোমবার

২৮ এপ্রিল, ২০২৫
১৫ বৈশাখ, ১৪৩২
১ জিলক্বদ, ১৪৪৬

দ্বিতীয় দিনের অবরোধে লালমনিরহাট জেলার ৪ উপজেলা,ভোগান্তিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীরা

প্রতিনিধি,হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট)

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১৮:১৫

শেয়ার

দ্বিতীয় দিনের অবরোধে লালমনিরহাট জেলার ৪ উপজেলা,ভোগান্তিতে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীরা
ছবি : বাংলা এডিশন

বুড়িমারী থেকে সরাসরি ঢাকাগামী আন্তঃনগর "বুড়িমারী এক্সপ্রেস ও লালমনি এক্সপ্রেস" ট্রেন চলাচল বাস্তবায়নের দাবিতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে সাধারণ ছাত্র-জনতা।

রবিবার  সকাল থেকে উপজেলার মেডিকেল মোড় এলাকায় সড়ক ও রেল স্টেশন এলাকায় রেলপথ অবরোধ করা হয়েছিল।আজকে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ  কর্মসূচি।

"বুড়িমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন বাস্তবায়ন আন্দোলন" কমিটির ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন স্থানীয় শত শত মানুষ।

লালমনিরহাট জেলার চার(০৪) উপজেলা আদিতমারি, কালিগঞ্জ,হাতীবান্ধা,পাটগ্রামের ১৯ লক্ষ মানুষ সরাসরি ঢাকা যাওয়া আসার এই রেল সেবা থেকে বঞ্চিত।

আন্দোকারীদের মধ্যে অন্যতম সমন্বয়ক এম সাদেদুজ্জামান কোয়েন জানান,আমাদের দাবিটি যৌক্তিক, এই দাবি মানা না হলে আমরা ইউএনও অফিস ও থানা ঘেরাও কর্মসূচি দেব এবং স্বেচ্ছায় করা বরণ করবো।

অন্যন্য আন্দোলনকারীরা জানান, বুড়িমারী দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থলবন্দর। এখানে প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করে থাকেন ও বিভিন্ন পন্য আমদানি-রপ্তানি হয়। কিন্তু সরাসরি বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত কোনো আন্তঃনগর ট্রেন না থাকায় যাত্রীদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে ট্রেন চালুর দাবি জানিয়ে আসলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

উল্লেখ্য যে এর আগে কয়েকবার "লালমনি এক্সপ্রেস ও বুড়িমারী এক্সপ্রেস" ট্রেন দুটি বুড়িমারী থেকে চলাচলের কথা থাকলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে তা চালু হয় নি।

দাবি আদায়ের লক্ষ্যে বাধ্য হয়ে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য সড়ক ও রেলপথ অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।

তারা আরও জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আন্দোলনের কারণে হাতীবান্ধা ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল ও ট্রেন যোগাযোগে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। বিশেষ করে পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাসগুলো বেশি ভোগান্তিতে পরেছে।পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় আন্দোলন আরও তীব্র করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে রেলওয়ের লালমনিরহাট ও রাজশাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

banner close
banner close