সোমবার

২৮ এপ্রিল, ২০২৫
১৫ বৈশাখ, ১৪৩২
১ জিলক্বদ, ১৪৪৬

বর্ধিত মেয়াদেও অনিশ্চয়তা: এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন ও হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্প

প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫ ১৯:২১

শেয়ার

বর্ধিত মেয়াদেও অনিশ্চয়তা: এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন ও হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্প
ছবি : বাংলা এডিশন
এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন মহাসড়ক এবং হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়েও অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। কাজের গতি কম থাকাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ও কারিগরি জটিলতায় এ অবস্থা তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দফায় প্রকল্পের মেয়াদ এবং বরাদ্দ বাড়ানো হলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি।
 
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হওয়া ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলেঙ্গা-রংপুর চার লেন মহাসড়কের নির্মাণ কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। নির্ধারিত মেয়াদ ২০২১ সালের আগস্ট থেকে প্রথম দফায় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর এবং পরে দ্বিতীয় দফায় ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। প্রকল্পের বাজেটও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে ১৮ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে।
 
একই অবস্থা সিরাজগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পেরও। ২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পটির কাজ প্রাথমিকভাবে ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও জমি অধিগ্রহণসহ নানা সমস্যার কারণে এর মেয়াদ ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ব্যয়ও বাড়তে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
 
প্রকল্প কর্তৃপক্ষের দাবি, ইন্টারচেঞ্জের কাজ ৫২ শতাংশ এবং চার লেন সড়ক প্রকল্পের ৮২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তবে বাস্তবে উল্লাপাড়া, ভূঁইয়াঘাটী, ছোনকা, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ীর মতো বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ কাজ এখনও অসম্পূর্ণ রয়েছে। অনেক জায়গায় মূল লেনের পরিবর্তে বিকল্প লেন দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হচ্ছে, ফলে বাড়ছে যানজট ও দুর্ঘটনা। এতে যাত্রীদের মধ্যে বাড়ছে হতাশা ও ভোগান্তি।
 
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই প্রকল্প দু’টি দক্ষিণ এশিয়ার বাণিজ্য ও যোগাযোগ উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন (সাসেক-২) এর আওতায় বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলোর দ্রুত সমাপ্তির উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
প্রকল্প পরিচালক ড. ওয়ালিউর রহমান ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান রাসেল উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করা সম্ভব হবে। তবে মাঠপর্যায়ের বাস্তবচিত্র এবং বারবার সময় ও ব্যয় বৃদ্ধি নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
 
সরকারি তদারকি ও সমন্বয়ের ঘাটতি দূর করা না গেলে এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক এবং হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জ প্রকল্পের পূর্ণতা লাভে আরও সময় লাগতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
 
banner close
banner close