মঙ্গলবার

২৯ এপ্রিল, ২০২৫
১৬ বৈশাখ, ১৪৩২
১ জিলক্বদ, ১৪৪৬

আওয়ামী লীগ নেতার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ

সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০০

শেয়ার

আওয়ামী লীগ নেতার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ
আওয়ামী লীগ নেতার জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।

আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম মো. সোলাইমান ওরফে বাঁশি (৫৫)। তিনি সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে বিএনপি, জামায়াত ও এলডিপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, ভোটকেন্দ্র দখল, এলাকায় প্রভাব বিস্তার ও দলের অভ্যন্তরীণ বিরোধীদের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শনিবার উত্তর সাতকানিয়া সাঙ্গু সাংগঠনিক থানা জামায়াতের আওতাধীন বাজালিয়া ইউনিয়নে গণসংযোগ চলাকালে জামায়াতের এক দায়িত্বশীল নেতা মো. সোলাইমানকে জামায়াতের সহযোগী সংগঠনের সদস্য ফরম পূরণ করান। গত রোববার রাত ও গতকাল সোমবার ফেসবুকে ওই ছবি ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি নিয়ে নানা মন্তব্য দেখা যায়।

ফেসবুকে মোহাম্মদ আরিফ নামের একজন লিখেছেন, ‘খুনি হাসিনার দোসরদের পুনর্বাসন করা মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা।’ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধোপাছড়ি নামের একটি পেজে লেখা হয়, ‘কোনো ডেভিল যেন আমাদের দলে ঢুকে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে।’ অন্যদিকে মোরশেদ আলম নামের একজন মন্তব্য করেন, ‘তাঁকে ক্ষমা করে দেওয়া যায় না? কেউ ভুল বুঝে সঠিক পথে আসতে চাইলে ক্ষতি কী?’

বিষয়টি নিয়ে বাজালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাসুকুর রহমান ও সেক্রেটারি ইসমাইল মো. রাশেদ নিজ ফেসবুক আইডিতে দুঃখ প্রকাশ করে পোস্ট দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে মো. সোলাইমানের সঙ্গে গতকাল রাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরলেও সাংবাদিক পরিচয় জানার পর মন্তব্য করতে রাজি হননি।

বাজালিয়া ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি ইসমাইল মো. রাশেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভুলক্রমে অন্য এলাকার এক নেতা তাঁকে চিনতে না পেরে ফরম পূরণ করান। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে, তাঁদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

banner close
banner close