মঙ্গলবার

২৯ এপ্রিল, ২০২৫
১৬ বৈশাখ, ১৪৩২
২ জিলক্বদ, ১৪৪৬

টঙ্গীতে কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, হামলায় আহত ১৫

গাজীপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৯ এপ্রিল, ২০২৫ ১৩:৫১

শেয়ার

টঙ্গীতে কারখানা চালুর দাবিতে শ্রমিক বিক্ষোভ, হামলায় আহত ১৫
টঙ্গীতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

গাজীপুরের টঙ্গীতে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন যমুনা অ্যাপারেল লিমিটেডের শ্রমিকরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে টঙ্গীর মিলগেট এলাকায় প্রথমে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ও পরে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে তারা এই বিক্ষোভ শুরু করেন।

শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানার সাবেক কিছু শ্রমিক বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত ২০ জন শ্রমিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

কারখানার সাবেক শ্রমিকরা জানান, ১০ দিন আগে কারখানার কোয়ালিটি সেকশনের শ্রমিক হুমায়ুন দুই দিনের ছুটি চেয়েছিলেন। ছুটি না পেয়ে হুমায়ুন নিজ উদ্যোগে দুই দিন ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার অ্যাডমিন অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স অফিসার হাবিবুর রহমান তার সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং হুমায়ুনকে মারধর ও গুম করে ফেলার হুমকি দেন। একপর্যায়ে হুমায়ুনকে কারখানার নিচতলার গুদামঘরের বাথরুমে আটকে রাখা হয়। চার ঘণ্টা পর হুমায়ুন মোবাইল ফোনে সহকর্মীদের খবর দিলে তারা তাকে উদ্ধার করেন।

এ ঘটনার জেরে কারখানা কর্তৃপক্ষ ১১৪ জন শ্রমিককে ছাঁটাই করে। শ্রমিক ছাঁটাই, গুমের হুমকি এবং বহিরাগতদের দিয়ে শ্রমিকদের ওপর হামলার অভিযোগে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা।

কারখানার সাবেক সুইং অপারেটর নাজমিন বিবি বলেন, আমাদের ভাইদের কেন বিনা কারণে ছাঁটাই করা হলো? বহিরাগত দিয়ে মারধর ও গুমের হুমকি কেন দেওয়া হলো? আমার এর বিচার চাই ও আমাদের চাকরি ফিরে চাই।

বর্তমানে কর্মরত শ্রমিক রুহুল আমিন বলেন, কারখানাটি আমাদের জীবিকার একমাত্র অবলম্বন। শান্তিপূর্ণভাবে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানাতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছি। আমাদের ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন অনেকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। আমরা বিচার চাই।

এ বিষয়ে কারখানার অ্যাডমিন অফিসার কবির হোসেন বলেন, কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সকালে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে কর্মরত শ্রমিকরা বিক্ষোভ করলে বহিরাগতরা (সাবেক শ্রমিক) এসে তাদের ওপর হামলা চালায়।

শিল্প পুলিশ-২ এর অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর সহায়তায় মহাসড়ক থেকে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

 

banner close
banner close