
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে নাতনিকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় নানা আজগরকে (৫০) কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কয়েকজন সন্ত্রাসী আজগরকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। রাত ১০টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত আজগর সিংগাইর থানার জয়মন্টপ ইউনিয়নের রায়দক্ষিন গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানদার ছিলেন।
এলাকাবাসি ও নিহতের পরিবার জানান, ৩য় শ্রেনী পড়ুয়া নাতনীকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্যক্ত করে স্থানীয় মৃত কালু পরামানিকের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী আলআমিন (৫০) । এঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেয় নানা আজগর। আলামিনের খোঁজে পুলিশ আসার খবর পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আলআমিনের নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী বাহিনী রামদা,চাপাটি দিয়ে হাত, পা,মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে স্পষ্টে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায় আলামিন। ওই রাতেই আজগরকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রাকিব আল শুভ বলেন, রোগীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহতের ছেলে লিয়াকত জানান, তার বাবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্তমানে ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হসপিটালে রয়েছে। তিনি আরো জানান হামলাকারীদের চিহ্নিত করা গেলেও পুলিশ জানিয়েছে তাদের গ্রেফতারের স্বার্থে গণমাধ্যমে নাম প্রকাশ না করার জন্য।
সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুয়েল মিঞা বলেন, আজগর নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার খবরে পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সিংগাইর থানায় হস্তান্তর করা হবে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জে ও এম তৌফিক আজম বলেন, এ ঘটনায় থানায় দুটি মামলা হয়েছে। ইভটিজিংয়ের অপরাধে আলআমিনকে আসামি করে মঙ্গলবার থানায় মামলা দায়ের হয় এবং হত্যার ঘটনায় আলামিনসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫/৬ জন অজ্ঞাত নামা আসামির বিরুদ্ধে পৃথক আরও একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তিনি আরো বলেন ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: