বুধবার

৩০ এপ্রিল, ২০২৫
১৭ বৈশাখ, ১৪৩২
,

জীবননগরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:০৬

আপডেট: ৩০ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:২১

শেয়ার

জীবননগরে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক প্রধানের বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত খালেক প্রধান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কাদের প্রধানের আপন ভাই।

এ ঘটনায় শঙ্কিত হয়ে প্রধান উপদেষ্টা, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চ্যেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জেলা বিএনপির সভাপতিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যালয়ে অভিযুক্তের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

অভিযোগকারী একই ইউনিয়নের পেয়ারাতলা গ্রামের আবুল হাশেমের ছেলে মূসা করিম রিপন জানান, ‘মনোহরপুর মৌজার, ৩০ নম্বর জুরিসডিকশন লিস্টের ৪৩০৭ দাগ নম্বরের জমিটি আমরা বিগত ১৯৭৭ সাল থেকে ক্রয়সূত্রে মালিক এবং ভোগ দখল করছি। ২০০৯ সালে জমিটি নিয়ে বিজ্ঞ জীবননগর সহকারী জজ আদালত চুয়াডাঙ্গাতে একটি বন্টননামা মামলা হয়। যার নম্বর: দেওয়ানী-৩৭/২০০৯। মামলাটি এখনো বিজ্ঞ আদালতে চলমান।’

তিনি বলেন, ‘এই মামলাধীন সম্পত্তির কিছু অংশ হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ২০২৫ সালে দাবী করলে বিষয়টি নিয়ে আদালতের সরণাপন্ন হতে অনুরোধ করি। জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক বরাবর মামলার বিষয়টি লিখিতভাবে জানায়। একইসাথে বিষয়টি সাবজুডিকশন হওয়ায় এই সম্পত্তির বিষয়ে কোনো প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ না করতে অনুরোধ করি। কিন্তু ওই ব্যক্তি আইন- আদালতের দারস্থ না হয়ে মনোহরপুর বিএনপির সহ-সভাপতি খালেক প্রধানকে দিয়ে বেআইনীভাবে জোরপূর্বক জমিদখলের চেস্টা করেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘খালেক প্রধান বারবার জমির কিছু অংশের দখল ছাড়তে আমার পরিবারকে চাপ দিতে থাকেন। বিবাদমান জমিটি নিয়ে আইনী জটিলতা থাকায় আমি বিষয়টিকে আদালতের মাধ্যমে সমাধান করতে অনুরোধ করি এবং এই তফশীলভুক্ত জমি নিয়ে একটি মামলা ইতিমধ্যে আদালতে বিচারাধীন থাকায় আমরা দখল ছাড়তে রাজি হইনি।’

রিপন বলেন, ‘গত ২৭ এপ্রিল খালেক প্রধান তার রাজনৈতিক কর্মীবাহিনী নিয়ে আমাদের জমি দখল করতে স্বশরীরে উপস্থিত হন। কিছু অংশে জোরপূর্বক সীমানা খুঁটি স্থাপন করেন। এ সময় স্থানীয় জনতা এই আইনবহির্ভূত কাজ করতে বাধা দিলে খালেক প্রধান কিছুটা বাধ্য হয়ে জমি দখল করা থেকে পিছু হটেন।’

রিপন আরও বলেন, ‘যেহেতু খালেক প্রধান একবার জমি দখলের উদ্যেগ নিয়েছেন, তাই এই মুহূর্তে আমি আশংকা করছি তিনি যে কোনো সময় আমাদের মামলাধীন এই সম্পত্তি তার রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জোরপূর্বক আবারো দখলের চেষ্টা করতে পারেন। তাই আমি , গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।’

জমি দখল চেষ্টার বিষয়ে জানতে চাইলে মনোহরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক প্রধান বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে জমি দখল চেষ্টার অভিযোগটি মিথ্যা। আমি এমন কিছু করিনি। তারা সাংবাদিকদের কাছে এমন অভিযোগ কেনো দিলো সেটা জানিনা।’

ইউনিয়ন বিএনপি নেতার জমি দখল চেষ্টার লিখিত অভিযোগ প্রসঙ্গে জীবননগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আনোয়ার হোসেন খান খোকন বলেন, ‘এরকম কোনো অভিযোগ পত্র আমার কাছে আসেনি। পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।‘

banner close
banner close