শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৫ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

১৪ বছর পর মুখ খুলে যা বললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদার পরিবার

মো. ইলিয়াস হোসাইন

প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট, ২০২৪ ০০:৪৮

শেয়ার

১৪ বছর পর মুখ খুলে যা বললেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদার পরিবার
মেজর বজলুল হুদাকে ফাঁসিতে নয় বরং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিজে উপস্থিত থেকে হত্যা করার অভিযোগ করছে তার পরিবার। ছবি: সংগৃহীত

২৮শে জানুয়ারি ২০১০, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার৷ রাত সাড়ে নয়টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের আশেপাশ ও কারাগারের অভ্যন্তরের সব বিদ্যুৎ একযোগে বন্ধ হয়ে যায়৷

বন্ধ হয়ে যায় মানে বন্ধ করে দেয়া হয়; দেড় ঘন্টা ঢাকা কারাগারের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় কেন বিদ্যুত ছিল না সেটা একটু পরে বলি৷

আগে বিদ্যুৎ আবার ফিরে আসার পর কারাগারের অবস্থা কেমন ছিল সেটা বর্ণনা করা যাক- ওইদিন কয়েদিদের সবার ভেতর এমনিতেই কিছুটা অস্থিরতা কাজ করছিলো, কারন তারা জানতো জেলখানায় সেদিন ৫ জনের ফাঁসি হতে যাচ্ছে৷  

রাত ১২টা ১ মিনিটে শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারকে হত্যার জন্য মৃত্যুদণ্ড পাওয়া কর্নেল ফারুক রহমান, মেজর একেএম মহিউদ্দিন আহমেদ আর্টিলারি, মহিউদ্দিন ল্যান্সার ও সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হলেও মামলার আরেকজন চুয়াডাঙ্গার শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদাকে সেদিন ফাঁসি দেয়া হয়নি৷ চারজনকে ফাঁসি দেয়া হলেও সেদিন কারাগার থেকে বের হওয়া লাশের সংখ্যা ছিলো পাঁচটি৷

ফাঁসি কার্যকরের পরদিন যথারীতি ৫টি লাশ পাঠানো হয় যার যার গ্রামের বাড়িতে, কিন্তু একটি লাশের ক্ষেত্রে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়৷ আর সেটাই হলো চুয়াঢাঙ্গার সূর্য সন্তান মেজর বজলুল হুদার৷

মেজর বজলুল হুদার বাড়ি চুয়াডাঙ্গার হাট বোয়ালিয়া গ্রামে সেদিন র‍্যাব পুলিশের উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চুয়াডাঙ্গাবাসীর বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে৷

যুদ্ধের এই আয়োজন ছিলো মুলত মেজর বজলুল হুদার মরদেহ যেন কেউ দেখতে না পারে সেটা নিশ্চিত করবার জন্য৷ দেখতে কেন দেয়া যাবে না সেটা জানতে আমরা হাট বোয়ালিয়া গ্রামের মানুষের বক্তব্য শুনতে চেয়েছিলাম৷

ওই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা একজন কাপড় ব্যবসায়ী বলেন, ‘লাশ দাফনের সময় প্রশাসনের লোক ছিল এবং পুলিশের বাধায় আমরা অনেকে থাকার পরেও প্রথমে লাশ ধোঁয়ানোর জন্য যেতে পারিনি।’

একইভাবে ঘটনার দিন উপস্থিত থাকা এলাকাবাসী পুলিশ ও প্রশাসনের ব্যাপক উপস্থিতি ও বিশেষ তৎপরতার কথা স্বীকার করেছেন।

চুয়াডাঙ্গার মানুষের কাছে মেজর বজলুল হুদা ছিলেন এক আদর্শের প্রতিক৷ যে কারনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি আর জোর জবরদস্তির পরেও প্রিয় মানুষটিকে শেষ বারের মতো একটু দেখতে চাওয়া মানুষের ঢল ছিলো চোখে পড়ার মতো৷

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা ছিল পাঁচ মিনিটের মধ্যে মেজর বজলুলকে দাফন করতে হবে৷ কিন্তু, জনরোষের মুখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পিছু হাঁটতে বাধ্য হয়৷

প্রিয় মুখ না দেখে, শেষ গোসল না দিয়ে কিছুতেই চুয়াডাঙ্গার মানুষ তা দাফন করতে চায়নি৷ বাধ্য হয়ে প্রশাসন তাদেরকে আধা ঘন্টা সময় বেঁধে দেয় দাফন করবার জন্য৷

এই অল্প সময়ের মধ্যেই অসংখ্য মানুষ মেজর বজলুল হুদাকে শেষবারের মতো একটু দেখতে ছুটে আসেন৷

এতোটুকু সময় পর্যন্ত দাফনের প্রক্রিয়া ঠিকই ছিল, কিন্তু মেজর বজলুল হুদা কে গোসল করাতে গিয়ে চুয়াডাঙ্গার মানুষ সাক্ষী হয় নৃশংসতম ঘটনার৷ কাফনের কাপড় সরাতে দেখা যায় মেজর বজলুল হুদাকে আসলে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়নি তাকে জবাই করা হয়েছে৷  

মেজর বজলুল হুদার মরদেহ গোসল করিয়েছিলেন তার ব্যক্তিগত সহকারি আব্দুর রশিদ৷ গোসলের জন্যে বজলুল হুদার কাফনের কাপড় সরানো হলে দেখা যায় পুরো শরীর রক্তে ভিজে রয়েছে৷ জাল শেলাই করা মোটা যে সুতা দিয়ে গলা সেলাই করা হয়েছে তাতে স্পস্ট বুঝা যাচ্ছে ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করা হয়েছিলো বীর যোদ্ধা বজলুল হুদাকে৷

বাংলার বীর সন্তান মেজর ফজলুর হুদাকে কে কারা কিভাবে জবাই করেছিল সেটা জানতে হলে আবারও ২৮ তারিখ রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দেড় ঘন্টার ওই সময়টাতে ফিরে যেতে হবে যে সময়টুকুতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও তার আশপাশের বিদ্যুৎ বন্ধ করে রাখা হয়েছিল৷

ওই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েক ঘন্টায় যা ঘটেছিলো তা হলিউডের হরোর-থ্রীলার মুভিকেও হার মানাবে৷  

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের ২৮শে জানুয়ারি রাত নয়টার পরপরই জেলগেইটের ভেতর মোট দুটি কালো গ্লাসের গাড়ি প্রবেশ করে৷ ওই গাড়ির একটিতে এসএসএফের সদস্যদের সঙ্গে শেখ হাসিনা এবং অপরটিতে জাহাঙ্গীর কবির নানক, ইসমাইল হোসেন সম্রাট, তৎকালীন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুর্ধর্ষ ক্যাডার সিদ্দিকী নাজমুল আলম ছিলেন।

ধারনা করা হচ্ছে ওই রাতের অপারেশনের পুরস্কার হিসেবেই পরের বছর ২০১১ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদকের পদে বসানে হয়৷ এ ছাড়া সম্রাট ও নানককেও দেয়া হয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব৷ এর বাইরেও ওই গাড়িতে ভয়ংকর কুৎসিত দেখতে বড় গোফওয়ালা একজন ছিলো যার নাম পরিচয় আমাদেরকে কেউ নিশ্চিত করে বলতে পারেনি৷

স্পর্শকাতর বিষয় হওয়ায় ওই রাতে কারাগারে ডিউটিতে থাকা একটি গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে আমাদের বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়ানো ছিলাম৷ ঐদিন প্রচন্ড শীত এবং কিছুটা কুয়াশার কারণে খুব ভালো দেখা যাচ্ছিল না৷’

গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক ওই কর্মকর্তা জানান, ওই রাতে মোট ২টি ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করা হয়। এই দুটি ফাঁসির মঞ্চে দুজন করে মোট ৪ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়৷ দুর থেকে কোন ৪ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়, সেটা বুঝা না গেলেও পঞ্চম জনকে ফাঁসি দেয়াতো দূরের কথা ফাঁসির মঞ্চেই তোলা হয়নি৷ কিন্তু লাশ বের করার সময় জেলখানা থেকে মোট ৫টি লাশবাহী গাড়ি বের হয়৷

তিনি আরও জানান, এমনিতেই ফাঁসির দিন কারাগারে কিছুটা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়৷ ওই রাতে শেখ হাসিনার সঙ্গে জেলখানার ভেতরে প্রবেশ করা বাকি খুনিরা সোজা চলে যায় প্রশাসনিক ভবনে৷

আর শেখ হাসিনা পুলিশ র‍্যাব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে থেকে চারজনের ফাঁসি নিজে প্রত্যক্ষ করেছেন৷ ধারনা করা হয় আসলেই তাদেরকে ফাঁসি দেয়া হচ্ছে কিনা সেটা নিশ্চিত করতেই শেখ হাসিনা সেখানে উপস্থিত ছিলেন৷

ওই রাতে কারাগারের ডিউটিতে থাকা গোয়েন্দা সংস্থার সাবেক এ কর্মকর্তা জানান, ফাঁসি কার্যকর হবার পরপর শেখ হাসিনাও চলে যান প্রশাসনিক ভবনের ভেতরে৷ সেখান থেকে রাত একটার কিছু আগে শেখ হাসিনা ও তার সঙ্গে থাকা খুনিরা সেই একই পাজেরো গাড়িতে করে জেলখানা থেকে বের হয়ে যান৷

কেন্দ্রীয় কারাগারের অন্য একটি সুত্রও বজলুল হুদার পরিবারকে জানিয়েছে, সেই রাতে বজলুল হুদাকে কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের একটি কক্ষে জবাই করা হয়, যেখানে শেখ হাসিনা নিজে উপস্থিত ছিলেন এবং বজলুল হুদাকে জবাইয়ের আগে তার বুকের উপর পা চাপা দিয়ে রাখেন শেখ হাসিনা নিজে৷  

সেই রাতে শেখ হাসিনাসহ তার সঙ্গে থাকা সব খুনীর গায়ে রক্ত লেগে ছিলো কিন্তু সম্রাটের গায়ে সাদা টিশার্ট থাকায় সেটা কারাগারের দায়িত্বে উপস্থিত অনেকেরই চোখে পড়ে৷  

ঘটনার বর্ননা শুনে অনেকের কাছেই হয়তো অসম্ভব অবিশ্বাস্য এক গল্পের মতো মনে হচ্ছে৷ তবে আপনি যদি শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সহকারি মতিউর রহমান রেন্টুর আমার ফাঁসি চাই বইটি পড়ে থাকেন তাহলে আপনার কাছে শেখ হাসিনার চরিত্রের সাথে হুবহু মিলে যাবে৷  

মতিউর রহমান রেন্টুর তথ্যানুযায়ী শেখ হাসিনা যেদিন মৃত্যুর খবর শুনতেন সেদিন স্বাভাবিক দিনের চেয়ে অনেক বেশি খেতেন৷ এই ঘর থেকে ওই ঘরে দৌড়ে পৈশাচিক উল্লাস করতেন৷  

জাহানারা ইমাম যেদিন মারা যায় সেদিন শেখ হাসিনা বিছানার ওপর উঠে দুহাত দিয়ে কাপড়ের দুমাথা ধরে নাচ্ছিলেন, কারন তিনি জাহানারা ইমামকে তার প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করতেন৷  

শেখ হাসিনাকে একজন নরপিশাচ, রক্তপিপাসু ও মানুষিক বিকারগ্রস্ত উম্মাদ বলেছেন অনেকেই- যে কারণে একজন মানুষ যার আর কয়েক ঘন্টা পর ফাঁসি কার্যকর হবে তাকেও নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করবার মতো চিন্তা করতে পারে৷ একটু চোখ বন্ধ করে ভেবে দেখুন কতো নৃশংস নরপিশাচের হাত থেকে আল্লাহ আমাদেরকে বাঁচিয়ে দিয়েছেন৷  

সবশেষে বলা যায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টের বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর বজলুল হুদাদেরকে আমরা সম্মান দিতে পারিনি বলেই আজ আবারও শেখ মুজিবের প্রেতাত্মা আমাদের ওপর চেপে বসেছিলো৷  

বাংলাদেশের মানুষ ২০২৪ সালে শিক্ষার্থীদের হাত ধরে যেভাবে দুর্বিষহ এক দুঃশাসনের কবল থেকে বেচে ওঠেছে, ঠিক একইভাবে ১৯৭৫ সালে মেজর ডালিম কর্নেল রশিদ কর্নেল ফারুক আর মেজর বজলুল হুদারা এক অত্যাচারী মাদকাসক্ত বাকশালীর হাত থেকে সাত কোটি বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল৷

শেখ হাসিনার দুঃশাসন আমরা চোখে দেখেছি কিন্তু শেখ মুজিবেরটা আমাদের থেকে আড়াল করে রাখা হয়েছে বলেই আমাদেরকে এখনও তাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখার কথা শুনতে হয়৷

কিন্তু বাস্তবে শেখ মুজিব তার পরিবার আর দলের লোকজন ছাড়া অন্য সবাইকে তার ক্রীতদাসে পরিনত করেছিলো৷  

শেখ মুজিবের সময় কতটা অরাজক পরিস্থিতি ছিল তা মেজর ফজলুল হুদার উইকিপিডিয়ার কয়েকটি লাইন পড়লেই পরিষ্কার হয়ে যাবে৷

মেজর বজলুল হুদা মেজর ডালিম ও তার স্ত্রী একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, সেখানে শেখ কামাল আর তার বখাটে বন্ধুরাও উপস্থিত ছিলেন৷ এদের মধ্যে সবচে উশৃংখল ছিলো গোলাম মোস্তফার ছেলে৷  

গোলাম মোস্তফা ছিলেন শেখ মুজিবের সবচে আস্থাভাজন এবং ঢাকা আওয়ামী লীগের সভাপতি৷ অত্যন্ত অসৎ প্রকৃতির এই লোকটিকে শেখ মুজিব রেড ক্রিসেন্টের চেয়ারম্যানের পদেও বসিয়েছিলেন৷

ক্ষমতার দাপটে বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা মেজর ডালিমের স্ত্রীকেও অসম্মান করার সাহস দেখায় শেখ কামালের বন্ধুরা৷ এ সময় মেজর ডালিম ও বজলুল হুদার সঙ্গে শেখ কামাল বাহিনীর ধস্তাধস্তি হয়।

এক পর্যায়ে তারা মেজর ডালিম ও তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যায়৷ পরে তাদের খোঁজে একজন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা গাজি মোস্তফার বাসায় অভিযান চালালে শেখ মুজিব মেজর ডালিমসহ ওই কর্মকর্তার পর্যন্ত সেনাবাহিনী থেকে কমিশন বাতিল করেন৷

অথচ তিনি তার পুত্র কামাল কিংবা গোলাম মোস্তফার ছেলেকে কোন শাস্তি দেন নি৷ এভাবে পুরো দেশটাকে বর্তমান শেখ হাসিনার মতই পারিবারিক সম্পত্তিতে পরিণত করেছিলেন৷ 

এসব কারনেই ২০২৪ সালের মতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি ছাত্র শিক্ষক পুলিশসহ সর্বস্তরের মানুষ আনন্দ উল্লাস করেছিলেন৷  

হাসিনাকে যেভাবে কুকুরের মতো পালিয়ে যেতে হয়েছে, কেউ তার রক্ষায় এগিয়ে আসেনি ঠিক একইভাবে শেখ মুজিবের লাশ ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে পরেছিল, কেউ দেখতে আসেনি৷

জানাযায় লোকজন ডেকেও পাওয়া যায়নি৷ ৫৭০ সাবান আর রিলিফের কাপড়ে দাফন করা হয় বাকশাল মুজিবকে৷  

অন্যদিকে, মেজর বজলুল হুদাদের জানাযায় পুলিশ দিয়েও মানুষের বাধ ভাঙ্গা জোয়াড় আটকে রাখা যায়নি৷ মানুষের চাপে আধা ঘন্টার মধ্যে দুইবার জানাযার নামাজ পড়ানো হয়৷  

সবশেষে বলতে হয়, মেজর ডালিম হুদাদের জন্ম আছে- মৃত্যু নেই, মরনের মধ্য দিয়েই তারা অমর হয়ে আজীবন বেঁচে থাকবে এদেশের মানুষের হৃদয়ে৷

যতোবার মুজিব-হাসিনাদের মতো ফ্যাসিস্ট নরপশুরা এদেশের মানুষকে শোষণ করতে চাইবে ততবারই মেজর বজলুল হুদারা ফিরে আসবে আবু সাঈদ কিংবা মুগ্ধ হয়ে৷