শনিবার

২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১৩ আশ্বিন, ১৪৩১
২৪ রবিউল আউয়াল, ১৪৪৬

বিদেশে পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ জব্দের আহ্বান পাঁচ সংস্থার

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২০:৫৪

আপডেট: ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ২১:০০

শেয়ার

বিদেশে পাচার হওয়া অবৈধ সম্পদ জব্দের আহ্বান পাঁচ সংস্থার
প্রতীকী ছবি।

বাংলাদেশের অর্থ পাচার এবং দুর্নীতি মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক অন্য চারটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দ্রুত সময়ে পাচারকৃত সম্পদ জব্দ করার জন্য বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের পাচার হওয়া অর্থ ও সম্পদ পুনরুদ্ধারের প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

টিআইবি, টিআই-ইউকে, ইউকে অ্যান্টিকরাপশন কোয়ালিশন, ইন্টারন্যাশনাল লইয়ারস প্রজেক্ট এবং স্পটলাইট অন করাপশন- এই পাঁচটি সংস্থা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, সুইজারল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, হংকং এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ বিভিন্ন দেশের কাছে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানায়।

সংস্থাগুলোর প্রধানেরা যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক উন্নয়ন মন্ত্রীর কাছে পাঠানো চিঠিতে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর জন্য দুর্নীতিমুক্ত, স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ নির্মাণে সহযোগিতা করতে এসব দেশের সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যেসব দেশে অর্থ ও সম্পদ পাচার করা হয়েছে, তাদের সবাই আমাদের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ অংশীদার এবং তারা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রতিশ্রুতির কার্যকর বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এসব দেশকে তাদের এখতিয়ারে থাকা সব বাংলাদেশি ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অবৈধ সম্পদ জব্দ (ফ্রিজ) করার জন্য অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আহ্বান জানাই।’

স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুজান হোলে বলেন, পাচার করা সম্পদ খুঁজে বের করতে এবং আশ্রিত দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে যুক্তরাজ্যকে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেওয়া প্রতিশ্রুতির ভিত্তিতে সহায়তা করতে হবে।

টিআই-ইউকের নীতিবিষয়ক পরিচালক ডানকান হেমজ বলেছেন, ব্রিটিশ সরকারের উচিত দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের বিদেশে পাচারকৃত সম্পদ জব্দ করা, যাতে তারা অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ ভোগ করতে না পারে।

অন্তর্বর্তী বাংলাদেশ সরকারের প্রতি যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা এবং সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দেয়ার পাশাপাশি, চিঠিতে তিনটি জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে: ১. যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশি পাচারকৃত সম্পদ শনাক্ত ও জব্দ করা, ২. বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সহায়তা প্রদান, ৩. পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে আনার জন্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো।

এই পদক্ষেপগুলি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন হবে এবং আন্তর্জাতিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা যাবে।