অবশেষে জানা গেল দেশের প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সবার প্রশ্ন দেশের প্রকৃত রিজার্ভ কতো? অবশেষে দেশের মোট ব্যয়যোগ্য বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভের তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর।

বৃহস্পতিবার রাতে অ্যামেরিকা ভিত্তিক বাংলা সংবাদমাধ্যম ‘ঠিকানায়’ খালেদ মুহিউদ্দীন নামের এক অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের রিজার্ভের পরিমাণ ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। এটা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ডেফিনেশন অনুযায়ী।

‘এই মুহূর্তে বাংলাদেশের রিজার্ভ কতো?’ সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীনের এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, ‘গত এক সপ্তাহে ৩০০ মিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে এবং আমি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দায়িত্ব নেয়ার পর একটি ডলারও বিক্রি করি নাই বাজারে। আমরা বরং রিজার্ভ কিনেছি। প্রতিদিন আমরা ৫০ মিলিয়ন ডলার করে বাজার থেকে কিনেছি।’

তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে মূল্যস্ফীতিকে আগামী ৪-৫ মাসের মধ্যে একটা পর্যায়ে নিয়ে আসা। মানে ৭ থেকে ৮ শতাংশের মধ্যে। পরবর্তী এক বছরের মধ্যে সেটা ৪/৫ শতাংশে নামিয়ে আনা। এতোদিন সেই হিসাব গোপন করে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের হিসাব প্রকাশ না করলেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফকে সেটি দেয়া হতো।

সাংবাদিক এক প্রশ্নে জানতে চান, অনেকেই এমন একটা ধারণা দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ নামতে নামতে একেবারে শূন্যের কোটায় চলে এসেছিল। আপনি নিশ্চয়ই অনেক ভালো কাজ করছেন কিন্তু এই ২০ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের পুরো কৃতিত্ব নিশ্চয়ই আপনার নয়?

এমন প্রশ্নের জবাবে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকারের সময় রিজার্ভ শূন্যের কোটায় নেমে এসেছিল, কথাটি সত্য নয়। তবে শেখ হাসিনা সরকার শেষ দিকে আইএমএফের পরামর্শে চলছিল এবং কিছু ভালো ভালো পলিসিও নিয়েছিল।’