প্রধান উপদেষ্টা ও একনেকের চেয়ারপারসন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম একনেক সভায় ১ হাজার ২২২ কোটি ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রকল্পগুলোর অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত প্রকল্পের মধ্যে দুইটি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের। এর মধ্যে ‘বাখরাবাদ-মেঘনাঘাট-হরিপুর গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন নির্মাণ (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্পে ৭০.৬৩ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং ‘২টি মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ (সুন্দলপুর-৪ ও শ্রীকাইল-৫) এবং ২টি অনুসন্ধান কূপ (সুন্দলপুর সাউথ-১ ও জামালপুর-১) খনন প্রকল্প’ এ ৫৮৮.৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্প (২য় পর্যায়)’ এর জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৯.৮৪ কোটি টাকা জিওবি এবং ১০০.১৬ কোটি টাকা ইউনিসেফের অনুদান।
এ ছাড়া মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ‘তথ্য আপা: ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে মহিলাদের ক্ষমতায়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পটির মেয়াদ ১ বছর বৃদ্ধি এবং প্রকল্পের নাম পরিবর্তনের পাশাপাশি ব্যয় পুনঃপ্রাক্কলন করার নির্দেশনা দিয়ে অনুমোদন করা হয়েছে। প্রকল্পটিতে দুই বছরের জন্য ১৬৩.১১ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু মেয়াদ এক বছর বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ব্যয়ও কমানো হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, বিগত সময়ে একনেক সভায় বিপুল সংখ্যক প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু সবক্ষেত্রে বাস্তবায়নের গতি এক থাকতো না। অপ্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রকল্পও থাকতো। এখন সেসব যাচাইবাছাই করা হচ্ছে। কাজেই আগের মতো একনেক সভা মানেই যেখানে অর্থ ব্যয়ের কর্মযজ্ঞ ছিল, এখন সে পরিধি কমে আসবে।
তিনি জানিয়েছেন, বিদেশি অর্থায়ন পাওয়া যাবে এমন প্রকল্প গ্রহণে গুরুত্ব দেবে সরকার। বহু বছর আগের অনেক প্রকল্প পড়ে আছে। এগুলোতে বিদেশি সহযোগীদের নজরদারি বেশি থাকে। অনিয়ম করা যায় না। তাই ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহ কম থাকে। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা ও অগ্রাধিকারের সাথে মিলে এমন কিছু নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: