শুক্রবার

২২ নভেম্বর, ২০২৪
৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
২০ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১২:২৫

আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১৭:২২

শেয়ার

১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত
প্রতীকী ছবি

১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিল ভারত। শুক্রবার দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারক বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন।

চালের রপ্তানি শুল্কও কমানো হয়েছে। আগে যেখানে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে তা নামিয়ে আনা হয়েছে দশ শতাংশে।

ভারত সরকারের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ভারতের চাল রপ্তানিকারকরা।

দেশটির অন্যতম চাল রপ্তানি কোম্পানি রাইস ভিলার শীর্ষ নির্বাহী সুরজ আগার ওয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ কৃষিক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক চালের বাজারে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা রাখবে। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমে আসবে, অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হবেন।

ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।

বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে এই মূহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ—বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম।

তবে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে।

ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছিল চালের দাম। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ১১ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড।