প্রত্যাশার পায়রা বন্দর সচল হচ্ছে। বাবনাবাদ নদীর তীরে লালুয়ায় বন্দরের টার্মিনালের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রথম টার্মিনালের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য সরাসরি খালাস করে সড়কপথে পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু করা হচ্ছে। তবে আপাতত আন্ধারমানিক নদীতে ফেরি দিয়ে বন্দরের পণ্য সড়কপথে পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরেই সড়কপথে পণ্য পরিবহন শুরু হবে। এতে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রমে গতি আরও আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশের তৃতীয় বন্দর পায়রা সমুদ্র বন্দরের কাজে গতি বাড়ছে। কিছু কাজ এখনো বাকি থাকলেও বন্দরটি রাজস্ব আয়ের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে।
পায়রা বন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৯ নভেম্বর শুরু হওয়া বন্দরের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৬ সালের ১৩ আগস্ট। জাহাজ থেকে জাহাজে পণ্য নেয়ার পদ্ধতিতে চালু হওয়া পায়রা বন্দরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১০টি জাহাজ আসে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আসা জাহাজের সংখ্যা ছিল এক হাজার ৪০টি। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৮৪ বিদেশী জাহাজসহ তিন হাজার ১৬০ জাহাজ বন্দরে সফলভাবে পণ্য ওঠানামা করেছে। রাজস্ব আয় হয়েছে প্রায় এক হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, এ বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের মধ্যে আছে চুনাপাথর, স্পুন পাইল, সিমেন্ট ক্লিঙ্কার, স্টোন চিপস, প্ল্যান্ট মেশিনারি, মোটা পাথর, ড্রেজিং সরঞ্জাম, চূর্ণ পাথর, পিএইচপি পাইপ পাইল, ওপিসি ক্লিঙ্কার ও এলপিজি। বাবনাবাদ নদীর তীরে লালুয়ায় বন্দরের টার্মিনালের কাজ এগিয়ে চলছে। প্রথম টার্মিনালের কাজ ৯৭ শতাংশ শেষ হয়েছে। এখানে জাহাজ থেকে আমদানি করা পণ্য সরাসরি খালাস করে সড়কপথে পরিবহনের জন্য আন্ধারমানিক নদীর ওপর সেতু করা হচ্ছে।
গত মার্চে শুরু হওয়া ৯৫০ কোটি টাকার সেতুর কাজ চুক্তি মোতাবেক চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে ব্রিজ কনস্ট্রাকশন গ্রুপ (সিআরবিজি) ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্টিটিউশন কর্পোরেশন (সিসিইসিসি) ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করবে।
আন্ধারমানিক নদীতে ফেরি দিয়ে আপাতত বন্দরের পণ্য সড়কপথে পরিবহনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরেই সড়কপথে পণ্য পরিবহন শুরু হবে।
আরও পড়ুন: