শনিবার

১৬ নভেম্বর, ২০২৪
২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১
১৫ জামাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬

খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:৩৫

আপডেট: ১৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:৩৫

শেয়ার

খেজুর আমদানিতে শুল্ক-কর কমানোর আহ্বান জানিয়েছে ট্যারিফ কমিশন
প্রতীকী ছবি

আসন্ন রমজানে দেশের বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেজুর আমদানিতে শুল্ক ও কর কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।

বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এতে বলা হয়, আসন্ন রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কর ও শুল্কায়ন যৌক্তিক করতে আশাজু নামের একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দুবাই, সৌদি আরব, মিশর ও আলজেরিয়া থেকে খেজুর আমদানি করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  কিন্তু খেজুর আমদানিতে উচ্চহারে শুল্ক কর ও অযৌক্তিক শুল্কায়ন থাকায় এখনো খেজুর আমদানি করতে পারেনি।

এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন ও অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় খেজুরের চাহিদা, আমদানির পরিমাণ, আমদানি শুল্কহার, কেজি প্রতি শুল্কায়ন, স্থানীয় বাজার মূল্য এবং খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ইত্যাদি বিষয় পর্যালোচনা করা হয়।

বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে বর্তমানে খেজুরের চাহিদা প্রায় ১ লাখ মেট্রিক টন এবং এর ভেতর শুধু রমজান মাসেই খেজুরের চাহিদা প্রায় ৬০-৭০ হাজার মেট্রিক টন। ২০২২-২৩ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেজুর আমদানির পরিমাণ যথাক্রমে ৮৬ হাজার ৫৮১ মেট্রিক টন ও ৮০ হাজার ৯১০ মেট্রিক টন। যার আমদানি গড় মূল্য (শুল্ককর ব্যতীত) যথাক্রমে ৩৩৬ টাকা ও ৪৯৭ টাকা প্রতি কেজি।

অপরদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-অক্টোবর) খেজুর আমদানির পরিমাণ ২৮৯ মেট্রিক টন, যার গড় আমদানি মূল্য (শুল্ককর ব্যতীত) ৪৩৩ টাকা প্রতি কেজি। সার্বিক পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ধারাবাহিকভাবে খেজুর আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

দেশে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, তিউনিসিয়া, মিশর, জর্ডান, ইরাক, ইরান ও পাকিস্তান থেকে অধিকাংশ খেজুর আমদানি করা হয়। বর্তমানে সকল প্রকার খেজুর আমদানিতে কাস্টম ডিউটি (সিডি) ২৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০ শতাংশ, ভ্যাট ১৫ শতাংশ, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) ৩ শতাংশ ও আগাম কর (এটি) ৫ শতাংশসহ মোট ৬৩.৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপিত আছে যা বাস্তবতার নিরিখে যৌক্তিক নয়।

এ পরিস্থিতিতে রমজানে খেজুরের মূল্য স্থিতিশীলকরণের নিমিত্ত খেজুর আমদানিতে গত বছরের মতো বিদ্যমান সিডি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ নির্ধারণ ও সমুদয় আগাম কর ৫ শতাংশ অব্যাহতি দেয়া যেতে পারে। যা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বহাল থাকবে।