বাংলাদেশের খোলাবাজারে ডলারের বিক্রি স্বাভাবিক থাকলেও ভারতীয় রুপির কোনো ক্রেতাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না রাজধানীর এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো।
সপ্তাহের ব্যবধানে টাকার বিপরীতে ৪-৫ পয়সা কমলেও রুপির বিক্রি কমে গেছে।
সাধারণত বাংলাদেশিরা ভারতীয় রুপি নিয়ে থাকেন মেডিকেল ও ভ্রমণ খরচের জন্য। গত কয়েক মাসে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজমান থাকায় রুপির বিক্রি অনেকটা কমে গেছে। এ ছাড়া স্বাভাবিক ভিসা কার্যক্রম বন্ধ ও ভারতমুখী যাত্রী কমে যাওয়ায় ঢাকায় কমেছে রুপির মান। ভারতীয় রুপি বিক্রির জন্য এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো দাম চাচ্ছে প্রতি রুপি ১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে ১ টাকা ৪৪ পয়সা পর্যন্ত, যা আগের সপ্তাহে দাম ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা থেকে ১ টাকা ৫০ পয়সা।
মতিঝিল, পল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় ডলার বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ই আগস্ট দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। পরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দূতাবাস থেকে বেশকিছু কর্মী দেশে ফিরিয়ে নেয় ভারত। পাশাপাশি ভিসা কার্যক্রমও বন্ধ ঘোষণা করে দেশটি।
এই কারনেই বাংলাদেশে রুপির বিক্রি কমে গেছে বলে জানান এক্সচেঞ্জ হাউজের মালিকরা।
আগে দিনপ্রতি ৪-৫ লাখ রুপি বিক্রি হতো জানিয়ে একটি এক্সচেঞ্জ হাউজের কর্মচারী জানান এখন ১৫ দিনেও এর অর্ধেক রুপি বিক্রি হচ্ছে না। বাজারে রুপির ক্রেতা নেই বললেই চলে, যা কিছু মানুষ আসছেন তারা নিজেদের কাছে থাকা রুপি বিক্রির জন্য।
খোলাবাজারের আরেক ডলার বিক্রেতা বলেন, ভারতীয় রুপির বিক্রি মোটেই নেই। দুই দেশের রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে বিক্রি কমে গেছে। দেশি টাকায় রুপিপ্রতি দাম কমেছে ৪-৫ পয়সা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার ভারতীয় রুপি বিক্রি হতো। এখন এক রুপিও বিক্রি হয়নি। এছাড়া রুপির দামও কমে যাচ্ছে।
মূলত বাংলাদেশ থেকে আগের মতো ভারত ভ্রমনের জন্য না যাওয়ায় রুপির বিক্রির এই পতন হচ্ছে।
আরও পড়ুন: