
পাকিস্তান থেকেও চাল আসছে। আবার আমরা ভিয়েতনাম থেকেও আনছি। গম এখন রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে আনছি। অতএব, আমরা আশা করছি, রোজার সময় তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভাবনা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, রাজস্বনীতি, মানবসম্পদ উন্নয়ন, তুলনামূলক উন্নয়ন অভিজ্ঞতাসহ অর্থনীতির নানা বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) অর্থ উপদেষ্টার একটি একান্ত সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে জাতীয় দৈনিক খবরের কাগজে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন খবরের কাগজের সম্পাদক মোস্তফা কামাল।
সাক্ষাৎকারে রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি রোধে উদ্যোগ প্রসঙ্গে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এসব কথা বলেন।
রমজানে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকাতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, সরবরাহ ব্যবস্থায় জোর দেওয়া হয়েছে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড ও ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগে ট্রাকসেল আবার চালু করা হয়েছে। এই সেবা সাময়িক বন্ধ করে দিয়েছিলাম। তখন দরকার ছিল না। কৃষি মন্ত্রণালয়কে বললাম, অর্থ দিয়ে তোমরা এটা চালু করো। তারা আবার শুরু করেছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় ভর্তুকিমূল্যে চাল বিক্রয় করবে। সব জায়গায় নয়। যেমন- আমরা চিন্তা করছি, কিছু কিছু জায়গায় বিশেষ করে যেসব জায়গায় জেলেরা আছে, চট্টগ্রামে ওদের কার্ড আছে, ওদের চাল কিছুটা বাড়ানোর জন্য চিন্তাভাবনা করছি।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যত পণ্য আমদানি করা হচ্ছে যেমন- চাল, গম, মসুর ডাল, খেজুর, এগুলো থেকে শুল্ক তুলে নেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু পণ্যের দাম কমে গেছে। এতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এটা আরেকটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। নিত্যপণ্য আমদানির ক্ষেত্রে ভারত আমাদের বড় উৎস। বেনাপোল আবার বন্ধ করে দিল, ওটা ছিল রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। এখন পাকিস্তান থেকেও চাল আসছে। আবার আমরা ভিয়েতনাম থেকেও আনছি। গম এখন রাশিয়া, ইউক্রেন থেকে আনছি। অতএব, আমরা আশা করছি, রোজার সময় তেমন কোনো সমস্যা হবে না।
বাজার মনিটরিং করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আছে। ভোক্তা অধিকারের যারা ম্যাজিস্ট্রেট আছেন, তাদের এ ক্ষমতা দেওয়া আছে।
আমদানির ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ ফরেন এক্সচেঞ্জ বলে জানান অর্থ উপদেষ্টা। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনি জানেন রিজার্ভটা আগে কমে গিয়েছিল, এখন বেড়ে রিজার্ভটা ২৫ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। এটা ঠিক আছে। আর আমদানির ক্ষেত্রে বকেয়া (আউটস্টান্ডিং) ছিল ৪.৫ বিলিয়ন ডলার। এটা এখন ৪ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর জন্য রিজার্ভ থেকে এক টাকাও নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: