বৃহস্পতিবার

২৪ এপ্রিল, ২০২৫
১১ বৈশাখ, ১৪৩২
২৬ শাওয়াল, ১৪৪৬

সয়াবিন তেলে আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার, কমতে পারে দাম

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১ এপ্রিল, ২০২৫ ১৬:৩৬

শেয়ার

সয়াবিন তেলে আমদানিতে আগাম কর প্রত্যাহার, কমতে পারে দাম
ফাইল ছবি

ব্যবসায়ীদের দাবি মেনে লিটারে ১৪ টাকা বাড়িয়ে সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণের এক দিনের মাথায় এ পণ্যের আমদানি পর্যায়ে আগাম কর প্রত্যাহার করা হয়েছে। একই সঙ্গে অপরিশোধিত পাম তেলের ক্ষেত্রেও এ সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। গত মঙ্গলবার এক বিশেষ আদেশে আগাম কর প্রত্যাহার করে সংস্থাটি। পরদিন ১৬ এপ্রিল বিষয়টি প্রকাশ করা হয়েছে।

এনবিআরের প্রথম সচিব (মূসক নীতি) মোহা. মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়েছে, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেল আমদানির ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে; এ ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে আগাম কর ছিল।

গত সপ্তাতে প্রতি লিটার বোতলের সয়াবিন তেলের দাম ঠিক হয়েছে ১৮৯ টাকা। আর খোলা সয়াবিন তেলের দাম ১৬৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর সর্বশেষ বোতলের সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হয়েছিল।তখন লিটারপ্রতি দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৭৫ টাকা।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সয়াবিন তেলের নতুন দর ঘোষণা করে বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজার ও ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করেছি।“এই মুহূর্তে ফর্মুলা অনুযায়ী তেলের দাম আছে প্রতি লিটার ১৯৭ টাকা। কিন্তু শিল্পের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা দাম নির্ধারণ করেছি।

মূল্যবৃদ্ধির কারণ হিসেবে কর অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহারের কথা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার ভোজ্য তেলে কর অব্যাহতি দিয়েছিল। এতে মাসে ৫৫০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায় কমে গিয়েছিল।’

‘সরকারের পরিচালনা ব্যয় নির্বাহ করার জন্য রাজস্ব অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। রমজানকেন্দ্রিক চিন্তা করে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার একটা কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল। সয়াবিন তেলের কর অব্যাহতি সুবিধাটা আপাতত প্রত্যাহার করা হয়েছে।

রোজার আগে দাম সহনীয় রাখতে সরকার ভোজ্য তেলের শুল্ক-করে যে রেয়াত দিয়েছিল, তার মেয়াদ গত ৩১ মার্চ শেষ হয়। তার আগেই ভোজ্য তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেন মিল মালিকেরা। বোতলের সয়াবিনের দাম তারা একলাফে ১৮ টাকা বাড়াতে চান। আর খোলা সয়াবিনের দাম বাড়াতে চান লিটারে ১৩ টাকা।

রোজাকে সামনে রেখে গত ডিসেম্বরে বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে সয়াবিনের সঙ্গে সব ধরনের পরিশোধিত ও অপরিশোধিত ভোজ্য তেলের ওপর আমদানি পর্যায়ের মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছিল। আগের মতোই সব ভোজ্য তেলে ভ্যাট ৫ শতাংশ রাখার সময় ১৫ ডিসেম্বর থেকে বাড়িয়ে ৩১ মার্চ করেছিল এনবিআর।

এর আগে গত ১৭ অক্টোবর পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন ও পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায়ী পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ভোজ্য তেলের কর অব্যাহতি সুবিধার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরদিন ১ এপ্রিল থেকে প্রস্তাবিত বাড়তি দর কার্যকরের ঘোষণা দেন ব্যবসায়ীরা। দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে গত ২৭ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে চিঠি দেয় মিলারদের সংগঠন।

ঈদের ছুটি শেষে গত সপ্তাহের শুরু থেকে দাম নিয়ে সরকারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়। এরপর ব্যবসায়ীদের দাবির কাছাকাছি দরেই সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়।

 

 

banner close
banner close